প্রতিদিন জ্বর আসার ৭ টি কারণ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণের পরামর্শ

আপনারা জানতে পারবেন প্রতিদিন জ্বর আসার কারণ লক্ষণ প্রতিকার এবং চিকিৎসা এছাড়াও চার জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার: অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আজিজুর রহমান, এছাড়াও ডাঃ এ. কে. এম. মোস্তফা হোসেন, এবং ডাঃ তানজিয়া খানম তম্পা, তাদের মূল্যবান পরামর্শ।

image

সূচিপত্র: প্রতিদিন জ্বর আসার কারণ

জ্বর এর লক্ষণ

শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বৃদ্ধি পাবে প্রায় 100 ডিগ্রি+, খেতে মন চায় না, হাইড্রেশন, ডিপ্রেশন, মাথাব্যথা, মাংস পেশী ব্যথা, বমি বমি ভাব, অতিরিক্ত জ্বর আসলে শরীরে কাঁপনই সৃষ্টি হয়।

জ্বরকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন কিভাবে বিবেচনা করছে?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, বলছেন জ্বর আসলে কোন অসুখ না, বরং জ্বর অন্যান্য রোগের লক্ষণ এর একটি প্রকাশ। সহজ ভাষায় বোঝাতে মানুষের দেহে যেকোন জীবাণুর আক্রমণ করলে জ্বর হতে পারে। এবং ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ইত্যাদির কারণে মানুষ জ্বর ভোগ করে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আজিজুর রহমান, তিনিও প্রায় একই কথা বলেছেন. শরীরে জ্বরের লক্ষণ বা প্রকাশ মানে অন্য রোগের আমন্ত্রণ/প্রকাশ ঘটতে চলেছে। সেজন্য জ্বরের কিছু বিশেষ লক্ষণ গুলো দেখতে পেলে বিশেষজ্ঞ বলে পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

আরো পড়ুন: চিকুনগুনিয়া রোগের ৪ টি লক্ষণ এবং চিকিৎসা

মি. আব্দুল্লাহ মনে করেন, আপনার যেই জ্বর হোক না কেন. জ্বর হলে অবহেলা করা একেবারেই অনুচিত বলে মনে করেন। আপনি যদি অনুভব করেন আমার জ্বর জ্বর ভাব তাহলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

বিশেষ করে যদি জ্বরের সাথে অন্যান্য রোগের আমন্ত্রণ না ঘটে তাহলে এক সপ্তাহ এর মধ্যে জ্বর ভালো হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। আর যদি এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো না হয় তাহলে এই বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে এবং জ্বর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিদিন জ্বর আসার ৭ টি কারণ

ডাঃ এ. কে. এম. মোস্তফা হোসেন তিনি বেশ কিছু সমস্যার কথা বলেন, ১. লাঞ্চের বিভিন্ন সমস্যা কারণে, এবং ২. হার্টে এর কারণে জ্বর হয়। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মানুষের ৩. ইমিউনিটি কমে গেলে ঘন ঘন জ্বর দেখা যায়। মানুষের ইমিউনিটি কমে যাওয়া একটি কারণ ৪. ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ইমিউনিটি কমে যায় যার ফলে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও আরো বলেন;

যাদের ৫. (কোণ এলার্জি) আছে তাদের যদি সে বৃষ্টিতে ভিজে, ৬. ঠান্ডা খাবার খাই, যেমন ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম, ইত্যাদি। এছাড়াও ৭. ফুড এলার্জি কিছু ফল আছে যেগুলো খেলে এলার্জি বেড়ে যায় সে সফল ফল খেলে জ্বর আসতে পারে।

ডাঃ এ. কে. এম. মোস্তফা হোসেন, আরো বলেন আমাদের জ্বর থেকে সুস্থ থাকার জন্য ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে হবে। ব্যায়াম, এক্সারসাইজ, হাটাহাটি, এসবের মাধ্যমে শরীরে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করা যায়। যারা অধিকাংশ সময় বসে থেকে পার করে তাদের নিয়মিত ব্যায়াম একটু হাঁটাহাঁটি করা উচিত।

আরো পড়ুন: বাতজ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং চিকিৎসা

ডাঃ তানজিয়া খানম তম্পা, বলেন জ্বর আমরা তখনই বলি যখন আমাদের শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। আমাদের শরীরে যখন কোন ইনফেকশন, ভাঙ্গাস, সিমটম, ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ ঘটে তখন জ্বর হয় এছাড়াও আরো কিছু কারণ রয়েছে। জ্বর সাধারনত আমাদের শরীরে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি অতিক্রম করলে জ্বর অনুভব করি তখন সাধারণত নাপা/নাপা এক্সট্রা গ্রহণ করি এটা উচিত নয়। আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রী অতিক্রম করলে মেডিসিন গ্রহণ করব। আর ১০২ ডিগ্রীর নিচে থাকলে মাথায় পানি ঢালুন এবং শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দিব।

জ্বর এর চিকিৎসা

আপনার শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রী+ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। এছাড়া ১০২ ডিগ্রি জ্বর হলে মাথায় পানি ঢালুন এবং ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে নিন। জ্বর অবহেলা করলে পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে সেজন্য রক্ত পরীক্ষা, ইউরিন টেস্ট, এক্সরে করে রেজাল্ট দেখে মেডিসিন গ্রহণ করুন।

হালকা জ্বর হলে অনেকেই প্যারাসিটামল (নাপা) ঔষধ গ্রহণ করে এটা করতে পারেন তবে একবার খাবার পর ৬ ঘন্টার মধ্যে আর খাবেন না। ৬ ঘন্টা পর খাবেন। কিছু ডাক্তার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মেডিসিন গ্রহণ করতে নিষেধ করছে। সুস্থতার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ না করাটাই ভালো। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ গ্রহণ করা যাবে না।

আরো পড়ুন: জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম এবং জ্বরের দোয়া

জ্বর হলে বেশি বেশি পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন কেননা শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। কিছু ফল আছে এবং খাবার আছে যেগুলোতে প্রচুর পানি থাকে সে সকল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

জ্বর হলে আপনাকে প্রথম থেকেই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। যেহেতু বিভিন্ন রকমের জ্বর আছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া, বাতজ্বর ইত্যাদি। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জ্বরের মেডিসিন/ওষুধ গ্রহণ করবেন।

উপসংহার

প্রতিদিন জ্বর আসার কারণ বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ জানলাম এবং প্রতিকার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন>

ধন্যবাদ-Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন 👇🏼 (Share it)

Before. পূর্বের পোস্ট দেখুন After. পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url