এইডস এর লক্ষণ কারণ ১০ করনীয় এবং ইসলামের নির্দেশনা

AIDS (এইডস) এমন একটি রোগ যে রোগের কোন ঔষধ নাই। জন সচেতনতার মাধ্যমে AIDS (এইডস) থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। এই কনটেন্টটিতে এইডস এর লক্ষণ, এইডস এর প্রতিরোধ এবং কোরআন থেকে সমাধান থাকছে। আশা করি এই কনটেন্টটি সম্পূর্ণ পড়লে AIDS (এইডস) সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ।

image

আমরা যারা AIDS (এইডস) এ আক্রান্ত, কিংবা সুস্থ আছি সকলকেই এইডস এর লক্ষণ গুলো এবং এইডসের প্রতিরোধ সম্পর্কে জানার দরকার। এবং আমাদের সুস্থ সুন্দর জীবন যাপনের জন্য মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত থাকছে।

পেজ সূচিপত্র: এইডস এর লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা, ইসলামের নির্দেশনা

এইডস কি? What is AIDS?

AIDS (এইডস) একটি শব্দ সংক্ষেপ। এর পূর্ণ নাম হলো 'একুয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম'।

  1. A= Acquired / অর্জিত।
  2. I = Immunc / প্রতিরোধ ক্ষমতা।
  3. D= Deficiency / অভাব।
  4. S= Syndrome / উপসর্গ সমষ্টি।

এইচ আই ভি এইডস রোগের বাহক / এইডস কিভাবে হয়?

এইডস রোগীর বাহক হলে অতি ক্ষুদ্র এক বিশেষ ধরনের ভাইরাস। এ ভাইরাসের পুরো নাম হল ' হিউম্যান ইমিউনো ডিফিয়েন্সি ভাইরাস'। সংক্ষেপে বলা হয় এইচআইভি (HIV)।

আরো পড়ুন: পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ এবং করণীয় পদক্ষেপগুলো

ইহা সাধারণত কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর হতে পারে (সাধারণত: তিন মাস থেকে তিন বছর)।

বাংলাদেশে এইডস পরিস্থিতি

বাংলাদেশে এইডস রোগের বিস্তার এখনো তেমন ভয়াবহ আকার ধারণ না করলেও বাংলাদেশে বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, আগে থেকে এই রোগ প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা সামাজিক ও জাতীয়ভাবে গ্রহণ না হলে তা পুরো সমাজকে (Whole Human Society) ভয়ংকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে।

এছাড়াও অন্যান্য দেশগুলোতে কম-বেশি এইডস এর লক্ষণ দেখা গিয়েছে। আপনারা একটু এইডস এর লক্ষণ নিয়ে নেটে ঘাটাঘাঁটি করলে দেশ এবং দেশের বাইরের এইডস এর বিভিন্ন তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।

এখন পর্যন্ত এইডস রোগের কোন ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। এর কোন প্রতিকার নেই, তবে সচেতনতার মাধ্যমে এইডস রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

এইডস রোগের কারণ / এইডস রোগ কিভাবে ছড়ায়

আমাদের কি কারণে এইডস রোগ হয় সেটা জানা খুবই জরুরী। এইডস রোগ যেভাবে একজন সুস্থ মানুষকে সংক্রমিত (Infected) করতে পারে তা নিম্নেরূপ;

  • অবৈধ যৌন মিলন ও নারী পুরুষের অবাধ যৌনাচার।
  • শিরায় মাদকদ্রব্য গ্রহণের মাধ্যমে ও রক্ত গ্রহণ রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে।
  • এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সুই, সিরিজ, নিডেল, ব্লেড, অপারেশন, যন্ত্রপাতি মাধ্যমে।
  • জরায়ুতে মা'র থেকে সন্তানের মধ্যে।

এই বিষয়গুলোর দিকে আমাদের নজর দিতে হবে কেননা এগুলোর মাধ্যমে আমাদের এইডস এ আক্রান্ত হচ্ছি।

এইডস এর লক্ষণ / এইডস এর লক্ষণ গুলো কি কি

আপনারা এইডস এর লক্ষণ গুলো জানতে পারলে রোগটি শনাক্ত করতে আপনাদের অনেক সহজ হবে এবং আপনি এইডস রোগে আক্রান্ত কিনা সেটা বুঝতে পারবেন। নিচে এইডস রোগের লক্ষণ দেওয়া হলো;

১. অস্বাভাবিক দৈহিক দুর্বলতা অনুভব হয়। ২. ক্ষুধাহীনতা দেখা দেওয়া। ৩. রোগের শরীরের ওজন অতি দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। অপ্রত্যাশিতভাবে দুই মাসের মধ্যে রোগীর শরীরের ওজন ৪.৫ কেজির বেশি ওজন কমে যায়। ৪. কয়েক সপ্তাহ বা এক মাসের বেশি সময় একটানা জ্বর হওয়া। ৫. রাতে অধিক ঘর্ম নির্গত হওয়া, ফলে প্রায়শঃই রাতে ঘুমের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।৬. শরীরে অসহ্য ব্যথা হয়।

আরো পড়ুন: মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ ওষুধের নাম, করণীয় ও চিকিৎসা

৭. লসিকাগ্রন্থি ভুলে যাওয়া। ৮. সারাদেহে চুলকানিজনিত চর্মরোগ। ৯. বারবার সারা দেহে " হারপিস জস্টার" -এর সংক্রমণ। ১০. মুখ ও গলায় ফালগাল ইনফেকশন হওয়া। ১১. মুখমন্ডল অস্বাভাবিক রুক্ষ হওয়া। ১২. শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ, মুখমন্ডল, নাক চোখের পাতা ইত্যাদি হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া এবং ফোলা না কমা।

১৩. স্মরণ শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়া। ১৪. নিউমোনিয়া হওয়া। ১৫. যক্ষা (TB) হওয়া। ১৬. ক্যান্সার হওয়া। ১৭. হাড্ডিসার হয়ে যাওয়া। যে কারণে এ রোগকে Slim Disease বা Waste Disease বলা হয়।

এইডস প্রতিরোধের উপায় / এইডস হলে করনীয়

১. ইসলামের বিধি-বিধান পুংখানুপুনুংরূপে মেনে চলা। ২. সার্বিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। ৩. নারী পুরুষের মধ্যে অবাধ যৌনাচার রোধ করা। ৪. গণমাধ্যমে যেমন টিভি, সিনেমা, ইত্যাদিতে যৌন উদ্দীপক অবাদ সংস্কৃতি ও অশ্লীল অপসংস্কৃতির প্রচার রোধ করা। ৫. রোগীর শরীরের রক্ত উৎপাদন যেমন: প্লাজমা, রক্তকণিকা দেয়ার পূর্বে তা HIV মুক্ত কিনা, পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া।

৬. দৈহিক মিলনের সংযম অবলম্বন করা। ৭. একই ইনজেকশনের সুচ কিংবা নিডেল দিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে ইনজেকশন না দেওয়া। ৮. চিকিৎসার যন্ত্রপাতি বিশুদ্ধ বা রোগ জীবাণু মুক্ত করে ব্যবহার করা। ৯. এইডস রোগীর ইনজেকশনের সুচ, সিরিঞ্জ, দাঁতের যন্ত্রপাতি তেল ব্যবহার না করা। ১০. নতুন প্রজন্ম যাতে এইডস নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে না পারে, সেজন্য এইডস আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী দৈহিক মিলনের সময় প্রয়োজনে জন্মনিরোধক যেমন কনডম ইত্যাদি ব্যবহার করবেন।

আরো পড়ুন: চোখ ওঠার ড্রপ এবং করণীয়

১১. দেশে বিরাজমান পতিতাদেরকে ক্রমান্বয়ে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ১২. সর্বোপরি এইডস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ১৩. স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এইডস রোগ সম্পর্কে এখন থেকে সচেতনতামূলক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।

আপনারা এইডস প্রতিরোধের উপায় গুলো জানলেন, যদি এইডস এর লক্ষণ আপনার মাঝে কিংবা অন্য কারো মাঝে দেখতে পান তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এবং নিচে এইডস প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আপনারা সঠিকভাবে মেনে চলবে ইহকাল এবং পরকাল সুন্দর করতে পারবেন। এবং এইডস মুক্ত জীবন গড়তে পারবেন।

এইডস প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা

এই প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলা-মিন আমাদের কি বলেছেন, সে সম্পর্কে সরাসরি কোরআন থেকে জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। অনুগ্রহ করে আয়াতগুলোর অর্থগুলো বোঝার চেষ্টা করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন;

{ সূরা: ১৭ বনী ইসরাইল, আয়াত নং ৩২।

وَلَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰٓى اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةً  ؕ وَسَآءَ سَبِيۡلًا‏  ٣٢

আর যিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ। } (৩২)

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন সূরা মু'মিনুন এর মধ্যে মুমিনের যে গুণগুলো রয়েছে তার মধ্যে একটি👇

{ সূরা: ২৩ মু'মিনুন, আয়াত নং ৫।

وَالَّذِيۡنَ هُمۡ لِفُرُوۡجِهِمۡ حٰفِظُوۡنَۙ‏ ٥

যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংরক্ষণ করে। } (৫)

সূরা মু'মিনুন এর প্রথম এর আয়াত গুলো পড়লে একজন মুমিনের পরিপূর্ণ গুণ সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়াও এইডস প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা অন্যান্য আয়াতগুলো👇

আরো পড়ুন: সূরা ফাতিহা শানে নুযুল এবং ফজিলত ও আমল

{ সূরা: ২৪ নূর, আয়াত নং ৩০-৩১।

قُلْ لِّـلۡمُؤۡمِنِيۡنَ يَغُـضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِهِمۡ وَيَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَهُمۡ​ ؕ ذٰ لِكَ اَزۡكٰى لَهُمۡ​ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِيۡرٌۢ بِمَا يَصۡنَـعُوۡنَ‏ ٣٠

মু’মিনদের বল তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, এটাই তাদের জন্য বেশি পবিত্র, তারা যা কিছু করে সে সম্পর্কে আল্লাহ খুব ভালভাবেই অবগত। (৩০)

وَقُلْ لِّـلۡمُؤۡمِنٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ اَبۡصَارِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوۡجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِيۡنَ زِيۡنَتَهُنَّ اِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَا​ وَلۡيَـضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰى جُيُوۡبِهِنَّ​ وَلَا يُبۡدِيۡنَ زِيۡنَتَهُنَّ اِلَّا لِبُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اٰبَآٮِٕهِنَّ اَوۡ اٰبَآءِ بُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اَبۡنَآٮِٕهِنَّ اَوۡ اَبۡنَآءِ بُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اِخۡوَانِهِنَّ اَوۡ بَنِىۡۤ اِخۡوَانِهِنَّ اَوۡ بَنِىۡۤ اَخَوٰتِهِنَّ اَوۡ نِسَآٮِٕهِنَّ اَوۡ مَا مَلَـكَتۡ اَيۡمَانُهُنَّ اَوِ التّٰبِعِيۡنَ غَيۡرِ اُولِى الۡاِرۡبَةِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفۡلِ الَّذِيۡنَ لَمۡ يَظۡهَرُوۡا عَلٰى عَوۡرٰتِ النِّسَآءِ​ وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِهِنَّ لِيُـعۡلَمَ مَا يُخۡفِيۡنَ مِنۡ زِيۡنَتِهِنَّ​ ؕ وَتُوۡبُوۡۤا اِلَى اللّٰهِ جَمِيۡعًا اَيُّهَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ‏٣١

আর ঈমানদার নারীদেরকে বলে দাও তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, আর তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয় তা ব্যতীত। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়।

তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, নিজেদের মহিলাগণ, স্বীয় মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনামুক্ত পুরুষ আর নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্যের কাছে নিজেদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।

আর তারা যেন নিজেদের গোপন শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। } (৩১)

{ সূরা: ৭ আ'রাফ, আয়াত নং ৮০-৮১।

وَلُوۡطًا اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِهٖۤ اَتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمۡ بِهَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنَ الۡعٰلَمِيۡنَ‏ ٨٠

আর আমি লূতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল, ‘তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ যা বিশ্বজগতে তোমাদের পূর্বে কোন একজনও করেনি। (৮০)

اِنَّكُمۡ لَـتَاۡتُوۡنَ الرِّجَالَ شَهۡوَةً مِّنۡ دُوۡنِ النِّسَآءِ​ ؕ بَلۡ اَنۡـتُمۡ قَوۡمٌ مُّسۡرِفُوۡنَ‏ ٨١

তোমরা যৌন তাড়নায় স্ত্রীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের নিকট গমন করছ, তোমরা হচ্ছ এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। (৮১)

{ সূরা: ২৯ আনকাবূত, আয়াত নং ২৮-২৯।

وَلُوۡطًا اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِهٖۤ اِنَّكُمۡ لَـتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَةَ مَا سَبَـقَكُمۡ بِهَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنَ الۡعٰلَمِيۡنَ‏ ٢٨

স্মরণ কর লূতের কথা, যখন সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল- অবশ্যই তোমরা এমন এক অশ্লীল কাজ করছ যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বজগতে কেউ করেনি। (২৮)

اَٮِٕنَّكُمۡ لَـتَاۡتُوۡنَ الرِّجَالَ وَتَقۡطَعُوۡنَ السَّبِيۡلَ ۙ وَتَاۡ تُوۡنَ فِىۡ نَادِيۡكُمُ الۡمُنۡكَرَ ​ؕ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوۡمِهٖۤ اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوا ائۡتِنَا بِعَذَابِ اللّٰهِ اِنۡ كُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِيۡنَ‏ ٢٩

তোমরা (কাম-তাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাও, রাহাজানি কর এবং নিজেদের মজলিসে ঘৃণ্য কর্ম কর। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোন জওয়াব ছিল না যে, তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের উপর আল্লাহর ‘আযাব নিয়ে এসো। } (২৯)

আরো পড়ুন: ১১৪ টি সূরা - কুরআনের ১১৪ টি সূরার নাম অর্থসহ

{ সূরা: ৩৩ আহযাব, আয়াত নং ৫৯।

يٰۤـاَيُّهَا النَّبِىُّ قُلْ لِّاَزۡوَاجِكَ وَبَنٰتِكَ وَنِسَآءِ الۡمُؤۡمِنِيۡنَ يُدۡنِيۡنَ عَلَيۡهِنَّ مِنۡ جَلَابِيۡبِهِنَّ ؕ ذٰ لِكَ اَدۡنٰٓى اَنۡ يُّعۡرَفۡنَ فَلَا يُؤۡذَيۡنَ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوۡرًا رَّحِيۡمًا‏ ٥٩

হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, তোমার কন্যাদেরকে আর মু’মিনদের নারীদেরকে বলে দাও- তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয় (যখন তারা বাড়ীর বাইরে যায়), এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে এবং তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।} (৫৯)

শেষ কথা

আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এইডস এর লক্ষণ, প্রতিকার ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি এবং বেশ কিছু কুরআনের আয়াত পড়েছি। আমরা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পেরেছি অবৈধ/হারাম সম্পর্কের কারণে এবং শিরায় মাদকদ্রব্য গ্রহণের এইডস রোগ ছড়ায়। যারা এই অশ্লীল কর্মকান্ড করে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি, এবং যারা তওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসে তাদের জন্য রয়েছে সুখবর।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহজ, সরল, সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন আমিন। আমরা নিজেরা জানবো এবং অন্যের কাছে পৌঁছে দেব ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ-Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন 👇🏼 (Share it)

Before. পূর্বের পোস্ট দেখুন After. পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url