খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম

রোগ ও সমস্যা

আমাদের বিভিন্ন সময় স্যালাইনের প্রয়োজন হয়। দোকানে বা ফার্মেসিতে না পেলে নিজেকে স্যালাইন তৈরি করতে হয়। সেজন্য খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম জানা দরকার আবার স্যালাইন ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।

image

খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম এবং কতক্ষণ সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা।

সূচিপত্র: খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম

কিভাবে খাবার স্যালাইন তৈরি করবেন

প্রথমে স্যালাইন বানানোর জন্য ব্যবহৃত পাত্র এবং দুই কনুই পর্যন্ত হাত সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।  অতঃপর ঐ পাত্রে আধা লিটার পরিমাণ টিউবয়েলের পানি বা ফুটিয়ে ঠান্ডা করা পানি মেপে নিন।

স্যালাইনের প্যাকেট কেটে প্যাকেটের সমস্ত পাউডার পানিতে ঢেলে দিন। যতক্ষণ পর্যন্ত পাউডারগুলি সম্পূর্ণভাবে পানিতে মিশে না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।

আরো পড়ুন: সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

স্যালাইন তৈরি করার পর খাবার স্যালাইনটি চোখে দেখুন। এটা বেশি লবণাক্ত হওয়া ঠিক নয়। যদি চোখের পানির চেয়ে বেশি লবনাক্ত হয় তবে ওই মিশ্রণটি ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে স্যালাইন তৈরি করুন।

প্যাকেটের বাহিরে লিখা বানানোর নিয়ম দেখেও স্যালাইন বানানো যায়।

খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম

প্রথমে লবণ গুড়ের শরবত বানানোর জন্য ব্যবহৃত পাত্র এবং দুই হাত কনুই পর্যন্ত সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। অতঃপর গুড় এবং পানি এমনভাবে মিশন যেন কোন তলানি পাত্রের নিচে জমা-না থাকে।

তিন আঙ্গুলের প্রথম ভাগের এক চিমটি লবণ পানির মধ্য দিন এবং এক মুঠ গুড় পানির মধ্য দিন। এবার লবণ গুড় এবং পানি এমনভাবে মিশন যেন কোন তলানি পাত্রের নিচে জমানা থাকে।

আরো পড়ুন: চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ

শরবতটি চোখে দেখুন। এটা বেশি লবণাক্ত হওয়া ঠিক নয়, যদি চোখে পানির চেয়ে বেশি লবনাক্ত হয় তবে ওই মিশ্রণটি ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে পুনরায় সঠিকভাবে তৈরি করুন।

মনে রাখবেন গুড় না থাকলে গুড়ের পরিবর্তে সমপরিমাণ চিনি দিয়েও  শরবত তৈরি করা যায়। এবং স্বাদ বৃদ্ধির জন্য লেবুর রস দিতে পারেন।

খাবার স্যালাইন কতক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়

খাবার স্যালাইন একবার বানানোর পর ১২ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। লবণ গুড়ের শরবত একবার বানানোর পর ৬ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এ  সময়ের পর পাত্রের অবশিষ্ট স্যালাইন ফেলে দিয়ে প্রয়োজনে নতুন করে স্যালাইন তৈরি করে রোগীকে সরবরাহ করতে হবে।

দুধ, স্যুপ, ফলের রস অথবা হালকা পানির পানিয়ের সাথেও, আর, এস, মেশানো বিপদজনক।

আরো পড়ুন: সিফিলিস রোগের লক্ষণ

খাবার স্যালাইন বানাতে প্রয়োজনের চেয়ে পানি কম হলে সেই ও, আর, এস-এ, পাতলা পায়খানা বেড়ে যেতে পারে আবার পানি বেশি হলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

বানানো স্যালাইন নির্দিষ্ট সময়ের বেশি রেখে খেলে সেটাতে পাতলা পায়খানা বেড়ে যেতে পারে।

শেষ কথা

স্যালাইন আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী পানি। বিভিন্ন সময় অসময়ে স্যালাইনের প্রয়োজন হয়। ফার্মেসি বা দোকানের সেলাই না পেলে আমরা নিজেরাই সেলাই তৈরি নিতে পারব ইনশাআল্লাহ। এবং স্যালাইন এর ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্যালাইন ব্যবহারের করব।

ধন্যবাদ-Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন 👇🏼 (Share it)

Before. পূর্বের পোস্ট দেখুন After. পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url