হজ্জের ফরজ কয়টি - হজ্জের বিস্তারিত আলোচনা

এক নজরে অনেক কিছু 👉 এখানে ক্লিক করুন

হজ্জ পালন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। হজ্জ পালনে এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো ছুটে গেলে আবারো হজ্জ পালন করা লাগে। সেজন্য হজ্জ পালনের আগে অবশ্যই হজ্জের ফরজ সহ সমস্ত বিষয়গুলো জেনে নেওয়া দরকার চলুন হজ্জের বিস্তারিত আলোচনা থেকে জেনে নেওয়া যাক।

image

আপনারা অবশ্যই হজ্জের বিষয়গুলো সময় নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র: হজ্জের ফরজ কয়টি - হজ্জের বিস্তারিত আলোচনা

হজ্জের সময়

হজ্জ-এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। এর বাইরে হজ্জ আদায় করা জায়েয নয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারীমে এরশাদ করেন:

اَلْحَجُّ اَشْهُرُ مَّعْلُوْ مَتُ

"হজ্জের মাস সমূহ সুবিদিত" (সূরা বাকারা আয়াত নং ১৯৭)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন:

قَالَ ابْنُ عُمَرَ اَشْهُرُ الْحَجّ شَوَّالُ وَذُوْاَلْقَعَدَةِ وَعَشَرُ مَّنْ ذِى الْحَجَّةِ

"হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা) বলেন, হজ্জের মাসসমূহ হচ্ছে শাওয়াল, যিলক্বদ এবং জিলহাজ্জের প্রথম ১০ দিন " বুখারী)।

আরো পড়ুন: যাকাত কাকে বলে - যাকাত দেওয়ার নিয়ম

তাফসীরে মাযহারীতে আছে, হজ্জের মাস শাওয়াল হতে আরম্ভ হওয়ার অর্থ হচ্ছে এর পূর্বে ইহরাম বাধা জায়িয নয়। কোন কোন ইমামের মতে শাওয়ালের পূর্বে হজ্জের ইহরাম বাধলে হজ্জ আদায়ই হবে না। ইমাম আযম আবু হানিফা (র)-এর মতে অবশ্য হজ্জ আদায় হয়ে যাবে কিন্তু মাকরুহ হবে" (তাফসীরে মা'আরেফুল কোরআন,১ম খন্ড)।

হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত সমূহ

  • ১. মুসলমান হওয়া।
  • ২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া
  • ৩. সুস্থ মস্তিষ্ক হওয়া
  • ৪. আযাদ হওয়া।
  • ৫. হাজ্জ পালনের দৈহিক ও আর্থিক সঙ্গতি থাকা।
  • ৬. হাজ্জের সময় হওয়া।
  • ৭. হাজ্জ যাত্রা পথের নিরাপত্তা
  • ৮. বিধর্মী শত্রু রাষ্ট্রের নও-মুসলিমের পক্ষে হাজ্জ ফরজ হওয়ার জ্ঞান থাকা।

হজ্জের ফরজ কয়টি

হাজ্জের ফরজ তিনটি: 

১. ইহরাম বাঁধা বা আনুষ্ঠানিকভাবে হজ্জের নিয়্যাত করা।

২. আরাফাতে অবস্থান (উকূফ), ৯ জিলহাজ্জের সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে ১০ জিলহাজ্জের ফজরের পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় কিছুক্ষণের জন্য হলেও।

আরো পড়ুন: আকিকার নিয়ম - আকিকার দোয়া

৩. তাওয়াফে জিয়ারত, ১০ জিলহাজ্জের ভোর থেকে ১২ জিলহাজ্জ পর্যন্ত যে কোনদিন কাবা শরীফে তাওয়াফ করা।

এ তিনটি ফরজের যেকোনো একটি যদি ছুটে যায়, তাহলে হাজ্জ বাতিল হয়ে যাবে এবং পরবর্তী বছরে তার কাজা আদায় করা ফরজ হয়ে যাবে।

হজ্জের ওয়াজিব সমূহ

  • ১. মিকাতের আগেই ইহরাম বাঁধা।
  • ২. সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে উকূফ করা।
  • ৩. সাফা-মারওয়ার মধ্যে শাই করা এবং সাফা থেকে সাই আরম্ভ করা।
  • ৪. মুজদালিফাই উকূফ (অবস্থান) করা।
  • ৫. তাওয়াফে জিয়ারত আইয়্যামে নহরের মধ্যে সম্পাদন করা।
  • ৬. রমি বা শয়তানকে কঙ্কর মারা।
  • ৭. মাথা মুন্ডানো বা চুল ছাঁটা। আগে রমি ও পরে মাথা মুন্ডানো।
  • ৮. মিকাতের বাইরে লোকদের জন্য তাওয়াফে আছে সদর বা বিদায়ী তাওয়াফ করা।
  • ৯. কিরান বা‌ তামাত্তু হাজ্জ আদায়কারী ব্যক্তির কুরবানী আদায় করা এবং তা রমি ও মাথা মুন্ডানোর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা।

আরো পড়ুন: সূরা ফাতিহা শানে নুযুল - সূরা ফাতিহার ফজিলত ও আমল

এগুলোর যেকোনো একটি ছুটে গেলে হাজ্জ হয়ে যাবে তবে দম দিতে হবে। অর্থাৎ কাফফারা স্বরূপ অতিরিক্ত একটি কুরবানী দিতে হবে।এছাড়া হজ্জের অন্যান্য কার্যাদী    সুন্নাত,মুস্তাহাব বা হজ্জের আদব পর্যায়ের।

হজ্জের সুন্নত সমূহ

১. মিকাতের বাইরের লোকদের মধ্যে যারা ইফরাদ বা কিরান হাজ্জ করেন তাদের জন্য তাওয়াফে কুদুম করা।

২. তাওয়াফে কুদূমে রমল করা। এ তাওয়াফে রমল না করে থাকলে তাওয়াফে জিয়ারত অথবা বিদায়ী তাওয়াফে তা করে নিতে হবে।

৩. ইমামের জন্য তিন স্থানে খুতবা প্রদান করা। অর্থাৎ ৭ জিলহাজ্জ মক্কা মোকাররমাই, ৯ জিলহাজ্জ আরাফাতের ময়দানে এবং ১১ জিলহাজ্জ মিনায়।

৪.৮ জিলহাজ্জ দিবাগত রাতে মিনায় অবস্থান।

৫.৯ জিলহাজ্জ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফায় যাওয়া।

৬. আরাফাতের ময়দান থেকে ইমামের রওনা হওয়ার পর রওনা হওয়া।

৭. আরাফাত থেকে ফেরার পথে মুজদালিফায় রাত্রি যাপন করা।

৮. আরাফাতে গোসল করা।

৯. মিনার কাজকর্ম সম্পাদন কালে মিনায় রাত্রি যাপন করা।

১০. মিনা থেকে ফেরার পথে মুহাসসাব নামক স্থানে কিছুক্ষণের জন্য হলে উকূফ করা"(মু-আল্লিমূল হুজ্জাজ)।

হজ্জের বিস্তারিত আলোচনার বাকি অংশ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন 👇🏼 (Share it)

Before. পূর্বের পোস্ট দেখুন After. পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url