মশার কামড় থেকে বাঁচার ২ টি ক্রিম
মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু জ্বর, চিকুনগুনিয়া সহ বিভিন্ন মশা বাহির রোগ হয়ে থাকে। আর এসব মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে একটি মশার কামড় থেকে বাঁচার ক্রিম।
মশার কামড় থেকে বাঁচার ক্রিম সহ আরো কিছু পদ্ধতি উপস্থাপন করব সাধারণত যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে মশার কামড়ে মশা বাহির রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
পেজ সূচিপত্র: মশার কামড় থেকে বাঁচার ক্রিম
- মশার কামড় থেকে বাঁচার ক্রিম
- মশা তাড়াতে লেবু ও লবঙ্গে ব্যবহার
- ACI AEROSOL অ্যারোসল ইনসেক্ট স্প্রে
- মশা তাড়ানোর পদ্ধতি - মশা তাড়ানোর ঘরোয়া পদ্ধতি
- শেষ কথা
মশার কামড় থেকে বাঁচার ক্রিম এর ব্যবহার
শরীরে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মশা কামড় দেয়। মশার এই কামড় থেকে বাঁচার জন্য বাজারে ক্রিম পাওয়া যায় এই ক্রিমগুলো শরীরে উন্মুক্ত জায়গাগুলোতে লাগিয়ে দিলে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।মশার কামড় থেকে বাঁচার ক্রিম এর নাম, (Odomos) অডোমস ক্রিম, ACI AEROSOL অ্যারোসল ইনসেক্ট স্প্রে। এছাড়াও বাজারে খোঁজ করলে হয়তো আরো অন্য নামের মশার কামড় থেকে বাঁচার ক্রিম পাওয়া যাবে।
বাজারে বেশ কিছু দোকানে (Odomos) অডোমস ক্রিম পাওয়া যায়। সেখান থেকে আপনারা এই ক্রিম ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইন মার্কেট-প্লেস গুলো যেমন daraz, amazon, ইত্যাদি। এ সকল অনলাইন মার্কেট-প্লেস থেকে মশা কামড় থেকে বাঁচার ক্রিম ক্রয় করতে পারবেন।
মশার ক্রিম |
মশা তাড়াতে লেবু ও লবঙ্গে ব্যবহার
আপনারা জেনে হয়তো 😲অবাক হবেন লেবু আর লবঙ্গ দিয়ে কি মশা তাড়ানো যায় আমি বলব হ্যাঁ, কারণ আমি যখন প্রথম জানতে পারলাম আমিও কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। চলুন জেনে নেই কিভাবে মশার কাপড় থেকে বাঁচবেন লেবু আর লবঙ্গ ব্যবহার করে।
কাজটি খুবই সহজ, প্রথমে একটি গোটা লেবুকে অর্ধেক করে ছুরি বা বঠি দিয়ে কেটে নিন। এরপর লবঙ্গ গুলোকে অর্ধেক করে কাটা লেবুর উপর গেঁথে দিন। এরপর যেভাবে মশার কয়েল রাখেন ঠিক সেভাবে একটি প্লেটে রেখে দিন ইনশাআল্লাহ মশা পালিয়ে যাবে।
নিচের ছবিটি খেয়াল করলে মশা তাড়াতে লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার আরো সহজ হবে।
লেবু ও লবঙ্গে ব্যবহার |
মশা কামড় থেকে বাঁচার ACI AEROSO অ্যারোসল ইনসেক্ট স্প্রে
মশা থেকে সুরক্ষা পেতে স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন রকমের মশা তাড়ানোর স্প্রে পাওয়া যায়। এই স্প্রে গুলো মশা তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকর ।
মশার স্প্রে |
আশা করা যায় এই স্প্রে গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে মশা তাড়াতে সক্ষম হবে এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে সুরক্ষা আশা করা যায়।
মশা তাড়ানোর পদ্ধতি - মশা তাড়ানোর ঘরোয়া পদ্ধতি
মশা তাড়ানোর অনেকগুলো পদ্ধতি আছে প্রতিটা পদ্ধতি কার্যকর এক একজন এক এক রকম ভাবে ভাবে মশার কামড় থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। যেমন,
- নিমের তেল ব্যবহার
- পুদিনা ব্যবহার
- নিম পাতা পোড়া
- বৈদ্যুতিক আলো ব্যবহার
- ব্যবহৃত চা পাতা ব্যবহার
- ফ্যান চালু রাখা
- লাল, কালো, নীল, রং এড়িয়ে চলা
- কর্পূর ব্যবহার
- সুগন্ধি ব্যবহার
- কেরোসিন তেল
পরীক্ষিত এই দশটি পদ্ধতি মশা তাড়াতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আপনাদেরকে উপরে যে পদ্ধতি গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো আপনারা মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে পারেন ওই পদ্ধতি গুলো বেশ কার্যকর। নিচে সংক্ষেপে দশটি বিষয়ে আলোচনা,
নিমের তেল ব্যবহার: নিমের তেল এমনিতেই ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এলার্জি সহ ত্বকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নিমের তেল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এছাড়াও নিমের তেল ব্যবহার করলে গায়ে মশা বসে না।
আরো পড়ুন: জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম - জ্বরের দোয়া
পুদিনা ব্যবহার: মশা তাড়াতে একটি পাতিলে পুদিনা পাতা দিয়ে পানিটা গরম করে নিন এরপর পানির ভাপ গুলো পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন দেখবেন ঘর থেকে মশা পালিয়ে গেছে।
নিম পাতা পোড়া: আমরা রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পুড়িয়ে থাকি সে কাঠের আঙ্গার গুলোতে নিম পাতা দিলে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এ ধোয়া মশা তাড়াতে বেশ কার্যকর।
বৈদ্যুতিক আলো ব্যবহার: বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন রকমের বৈদ্যুতিক আলোর পাওয়া যায় এর মধ্যে হলুদ আলো মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার হয়।
ব্যবহৃত চা পাতা ব্যবহার: অনেকেই আমরা বাড়িতে চা করে পান করি। চা করে খাওয়ার পর পাতাগুলো ফেলে দেই। পাতাগুলো ফেলে না দিয়ে মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা যাই। পাতাগুলো রৌদ্র শুকিয়ে গুড়ো করে গুঁড়ো গুলো দিয়ে ধোয়া সৃষ্টি করলে মশা তাড়ানো সম্ভব।
ফ্যান চালু রাখা: মশা আকারে অনেক ছোট এবং হালকা সেজন্য ফ্যান ছেড়ে রাখলে আক্রমণ করতে পারে না। কারণ ফ্যানের স্পিড ঘণ্টায় প্রায় দুই মাইল।
লাল, কালো, নীল, রং এড়িয়ে চলা: আপনি হয়তো অবাক হবেন মশার পছন্দের রং 😵 হ্যাঁ, কিছু প্রজাতির মশা লাল, কালো, নীল, এই রং গুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় সেজন্য এই রং গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
কর্পূর ব্যবহার: কর্পূর গন্ধ মশা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে না, তাদের কাছে অসহ্য গন্ধ। বিভিন্ন ফার্মেসীতে ট্যাবলেট পাওয়া যায় একটি বালটিতে পানি নিন এবং পানিতে একটি ট্যাবলেট ছেড়ে দিন এরপর ঘরের এক কোণে রেখে দিন দেখবেন মশা পালিয়ে গেছে। (সতর্কতা) "দুইদিন পর পর পানি গুলো চেঞ্জ করে ফেলবেন" আবার আপনি চাইলে এই পানিগুলো ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুন: নিরাপদ পানি কাকে বলে - বিশুদ্ধ পানি কাকে বলে
সুগন্ধি ব্যবহার: সাধারণত সুগন্ধি ব্যবহার করলে মশা কাছে কম আসে সেজন্য আপনারা আপনাদের পছন্দের যেকোনো পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি ঘুমানোর সময় ওযু করে আতর লাগিয়ে ঘুমালে আমাদের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে।
কেরোসিন তেল: কেরোসিন তেল মশার জন্য এক ধরনের বিষ। কেরোসিন তেলের সঙ্গে অল্প একটু কর্পূ মেশান এরপর বোতলটা ঝাঁকিয়ে নিন এবার স্প্রে করুন, মশা আর থাকবে না।
শেষ কথা
আশা করি এখন থেকে মশার কামড় থেকে বাঁচতে ক্রিমসহ অনেকগুলো মাধ্যম জেনে গেছে। এই পদ্ধতি গুলো শুধু মশা না, বিভিন্ন মশা বাহি রোগের হাত থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ-Thanks
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url