গম চাষ পদ্ধতি - গমের বৈজ্ঞানিক নাম কি

কৃষি শিক্ষা

খাদ্য ফসল হিসেবে গমের চাহিদা ও গুরুত্ব বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে। খাদ্যমানের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে চাউলের চেয়ে গম বেশি পুষ্টিকর। এই কনটেন্টটিতে গম চাষ পদ্ধতি সহ গম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থাকছে।

image
গম চাষ পদ্ধতি - গমের বৈজ্ঞানিক নাম কি

পেজ সূচিপত্র : গম চাষ পদ্ধতি - গমের বৈজ্ঞানিক নাম কি? ইত্যাদি।

গমের বৈজ্ঞানিক নাম কি এবং গম সম্পর্কে কিছু কথা

গমের বৈজ্ঞানিক নাম Triticum Aestivum. বাংলাদেশের যেসব এলাকায় বোরো ধানের চাষ করতে সেচের ব্যয় বেশি হয়, সেখানে কম সেচে লাভজনকভাবে গম চাষ করা যায়। এটি একটি গম চাষের বড় সুবিধা।

আরো পড়ুন: সার কি - মাটি পরীক্ষা করার নিয়ম

গম থেকে আমরা প্রতি ২৫০ গ্রামে ৯০০ কিলোক্যালারি খাদ্য-বল, এবং ১৭৪ গ্রাম শর্করা ও ৩০ গ্রাম আমি পাওয়া যায় এছাড়াও গমে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। সবদিক দিয়ে বিবেক বিবেচনা করলে বলা যায় গম চাষ করা আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি আবাদ।

গমের জাত

গমের বেশ কিছু জাত রয়েছে তার মধ্যে গমের প্রধান প্রধান জাতের মধ্যে রয়েছে,

  • কাঞ্চন
  • শতাব্দী
  • সৌরভ
  • গৌরব ও প্রতিভা

জাতের নাম গুলো শুনতে একটু কেমন জানি লাগছে😄 (নাম গুলো খুব মজার) এসব জাত ভালো ভাবে চাষ করলে প্রতি শতকে ১৪-২০ কেজি ফলন পাওয়া যেতে পারে।

আপনার যদি গমের চাষ করব মন্তব্য করে থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন গমের এই জাত গুলো চাষাবাদ করার। কারণ আপনি একদিকে বেশি ফলন পাবেন এবং নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করে আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

গমের চাষ পদ্ধতি ও বীজ বপন

গম বোনার জন্য ৪-৫ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল করতে হবে। জমি তৈরির পর ২০ সেমি. দূরে দূরে লাঙ্গল দিয়ে লাইন টেনে বীজ বুনতে হবে। অবশ্য ছিটিয়েও বীজ বোনা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে বোনার পর জমিতে একটি চাষ ও মই দিয়ে বিজ ঢেকে দিতে হবে।

আরো পড়ুন: কৃষি শিক্ষা - ইসলামের দৃষ্টিতে কৃষি

(বাংলাদেশে কখন গম চাষ হয়) এবং কতখানি জমিতে কতগুলো বীজ লাগে?

বীজ বোনার উপযুক্ত সময় অগ্রহায়ণের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ। উত্তরাঞ্চলীয় জেলা সমূহ তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বোনা যায়। বীজ বোনার পূর্বে বীজগুলো শোধন করে নিলে বীজ বাহিত রোগের আক্রমণ হয় না। বীজ সংশোধনের জন্য তিন গ্রাম ভিটাভেক্র ২০০ দ্বারা প্রতি কেজি বীজ সংশোধন করা হয়। বীজের পরিমাণ প্রতি শতকে ৪৯০ গ্রাম। (গজানোর হার ৮০%)

গমে সার প্রয়োগ

আমরা যেকোনো ফসল উৎপাদন করার সময় চেষ্টা করব সর্বোচ্চ ফলন পেতে, সেজন্য আমাদের সঠিক নিয়ম কানুন গুলো জানতে হবে। যেমন বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল উঠানো পর্যন্ত নির্দিষ্ট নিয়মে ফসলের যত্ন নিতে হবে, তাহলে সর্বোচ্চ ফলনের আশা করা যায়।

আরো পড়ুন: মাটি কাকে বলে কৃষি শিক্ষা

আপনি যদি গমের ভালো ফলন পেতে চান তাহলে বীজ বোনার আগে প্রতি শতকে জমিতে নিম্নরূপ মাত্রায় সার ব্যবহার করতে হবে:

  1. জৈব সার ৩০-৪০ কেজি
  2. ইউরিয়া ৬০০-৭০০ গ্রাম
  3. টিএসপি ৬০০-৭০০ গ্রাম
  4. এমপি ৩০০-৪০০ গ্রাম
  5. জিপসাম ৪৫০-৫০০ গ্রাম

সার প্রয়োগের নিয়ম, জৈব সার জমির প্রস্তুতের সময় এবং অন্যান্য সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। বোরণের ঘাটতি থাকলে প্রতি শতাংশে ২৫ গ্রাম বরিক এসিড শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি শতাংশে ৩০০-৩৫০ গ্রাম ইউরিয়া বীজ বপনের ১৭-২১ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।

শেষ কথা

আপনারা যারা গমের নতুন চাষাবাদ শুরু করছে কিংবা দীর্ঘদিন ধরে গমের আবাদ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন না এখন থেকে এই ফর্মুলা গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে গমের ভালো ফলন পাবেন ইনশাআল্লাহ।

এবং প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা এই কন্টেন্টের মাধ্যমে সৃজনশীল ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে পারে।

ধন্যবাদ-Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন 👇🏼 (Share it)

Before. পূর্বের পোস্ট দেখুন After. পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url