চিঠি লেখার নিয়ম - চিঠির খাম লেখার নিয়ম
চিঠি লেখার নিয়ম বা চিঠির খাম লেখার নিয়ম জানার আগে চিঠি বা পত্র শব্দটির সাথে পরিচিত হয়। চিঠি বা পত্র শব্দটির অভিধানিক অর্থ 'চিহ্ন বা স্মারক'। কিন্তু ব্যবহারিক অর্থে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা বৈষয়িক কার্যক্রমের জন্য লিখিত বিবরণীকে পত্র বলা হয়।
চিঠি লেখার নিয়ম - চিঠির খাম লেখার নিয়ম |
চিঠি লেখার নিয়ম - চিঠির খাম লেখার নিয়ম a টু z সমস্ত কিছু উপস্থাপন করা হয়েছে। এবং শিক্ষার্থী সহ আমাদের সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের বিভিন্ন কাজেরর জন্য চিঠি লেখার নিয়ম , চিঠির খাম লেখার নিয়ম , প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা , ভপ্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম english , ইত্যাদির প্রয়োজন হয়।
পেজ সূচিপত্রঃ চিঠি লেখার নিয়ম - চিঠির খাম লেখার নিয়ম
- বর্তমান সময়ে চিঠির গুরুত্ব কি কমেছে না বেড়েছে?
- ব্যক্তিগত পত্র বা চিঠি লেখার নিয়ম
- চিঠি লেখার নিয়ম (দুটি অংশ)
- চিঠি লেখার নিয়ম - চিঠির খাম লেখার নিয়ম (উদাহরণ)
- চিঠি লেখার নিয়ম ছবি
- প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা / english
- শেষ কথা
বর্তমান সময়ে চিঠির গুরুত্ব কি কমেছে না বেড়েছে?
পত্র হল আধুনিক বিশ্বে যোগাযোগের একটি প্রধান মাধ্যম, আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব যারা দূরদূরান্তে বসবাস করে চিঠি পত্রের মাধ্যমে আমরা তাদের সাথে সংবাদ আদান প্রদান করি। যদিও বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় খবরাখবর অপরের কাছে খুব সহজে পৌছানো যায়।
তবুও সুপ্রাচীন মাধ্যম এই চিঠির গুরুত্ব এতটুকু কমই নি। এছাড়া কোন বিষয়ে অভাব অভিযোগ জানাতে সামাজিক সমস্যা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে ব্যবসায় বাণিজ্য পরিচালনা করতে কিংবা অফিস আদালতে নিবেদন পেশ করতে চিঠিপত্র এখনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
জীবনে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ধরনের পত্র লিখতে হয়। নানা ধরনের কাজের জন্য পত্র লেখার ধরণও নানা রকম হয়ে থাকে। এসব চিঠি লেখার সময় নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম বা ছক মেনে চলতে হয়। এজন্য পত্র লেখা অভ্যাস থাকা সকলের জন্য আবশ্যক।
চিঠি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন: ব্যক্তিগত চিঠি, নিমন্ত্রণ চিঠি, আবেদন বা দরখাস্ত, সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য চিঠি, ব্যবসায়িক চিঠি, অভিনন্দন চিঠি, ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত পত্র বা চিঠি লেখার নিয়ম
বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, কিংবা বন্ধু বান্ধবের কাছে যেসব চিঠি লেখা হয় সেগুলো হচ্ছে ব্যক্তিগত চিঠি বা পত্র। এসব চিঠিতে থাকে পড়াশোনা বা বেড়ানোর কথা, উৎসব অনুষ্ঠানের কথা। এ ধরনের চিঠিতে বিশেষ অভিজ্ঞতা কিংবা বিশেষ সমস্যার কথাও লেখা চলে।
এ ধরনের চিঠি এমনভাবে লিখতে হয় যেন পড়তে ভালো লাগে, যেন তা মনকে ছুঁয়ে যায়। অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক কথা কিংবা দুর্বোধ্র শব্দের আড়ম্বর ঘটলে এ ধরনের চিঠি কৃত্রিম হয়ে পড়ে।
ব্যক্তিগত চিঠির গঠন কাঠামো বা আঙ্গিক: পুরো চিঠির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন অংশে কি লেখা হয় এবং কোন রীতিতে লেখা হয় তার একটা নির্দিষ্ট ছক আছে। সেই ছককে বলা হয় গঠন কাঠামো বা আঙ্গিক। গঠন কাঠামোর দিক থেকে ব্যক্তিগত চিঠির দুটি অংশ থাকে।
- (ক) ভেতরের অংশ
- (খ) বাইরের অংশ
চিঠি লেখার নিয়ম (দুটি অংশ)
(ক) ভেতরের অংশ : চিঠির ভেতরে অংশ চার ভাগে বিভক্ত। যথা-
১. চিঠির ডান দিকে উপরের কোণায় যেখান থেকে চিঠি লেখা হচ্ছে সেখানকার ঠিকানা লিখতে হবে।
২. ঠিকানার ঠিক নিচে যে তারিখে চিঠি লেখা হচ্ছে সেই তারিখ দিতে হবে।
৩. ঠিকানার বাম দিকে যাকে চিঠি লেখা হচ্ছে তাকে উপযুক্ত সম্ভাষণ করতে হবে। গুরুজন কিংবা সমবয়সী বন্ধু-বান্ধবকে সম্বোধন করার ভাষা আলাদা। যেমন-
- (ক) গুরুজন আত্মীয় হলে: শ্রদ্ধেয় আব্বা, পরম পূজনীয় বাবা, শ্রদ্ধাভাজনীয়াসু মা ইত্যাদি।
- (খ) গুরুজন আত্মীয় না হলে: শ্রদ্ধেয়, শ্রদ্ধাভাজনেষু, [মেয়েদের বেলায়: শ্রদ্ধেয়া, শ্রদ্ধাভাজনীয়াসু] ইত্যাদি।
- (গ) সম্পর্কে বা বয়সে ছোটদের সম্বোধনে: স্নেহের মারুফ, স্নেহভাজন গৌতম, [মেয়েদের বেলায়: স্নেহভাজনীয়াসু , কল্যাণীয়াসু] ইত্যাদি।
- (ঘ) সমবয়সী বন্ধুদের বেলায়: প্রিয় আনিস, প্রতিভাজন তৌফিক [ মেয়েদের বেলায়: শ্রদ্ধেয়া, শ্রদ্ধাভাজনীয়াসু] ইত্যাদি। এক্ষেত্রে কেবল নাম লিখেও সম্বোধন করা চলে। যেমন: সাজু , রাজু , করিম, রহিম, তোর পাঠানো চিঠি ও বই গতকাল ডাকে পেয়েছি।
৪. এরপর এক বা একাধিক অনুচ্ছেদ চিঠির মূল বক্তব্য গুছিয়ে লিখতে হয়। বক্তব্যের প্রথমে বা শেষে কুশন সংক্রান্ত প্রশ্ন (কেমন আছো?) বা প্রত্যাশা [ আশা করি, তোমরা সবাই ভালো আছো] থাকতে পারেন।
(খ) চিঠির বাইরের অংশ: চিঠির বাইরে খামের বা পোস্ট কার্ডের ডানদিকে প্রাপকের (যিনি পাবেন তার) নাম ও ঠিকানা লিখতে হয়। আর বাম দিকে লিখতে হয় প্রেরকের (যিনি চিঠি পাঠাচ্ছেন তার) নাম। বাংলাদেশে বা পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষায় ঠিকানা লেখা চলে। তবে সাধারণভাবে বিদেশে চিঠি লিখলেন ঠিকানা ইংরেজিতে english লেখা উচিত।
চিঠি লেখার নিয়ম - চিঠির খাম লেখার নিয়ম (উদাহরণ)
উল্লেখিত বিষয়গুলো ব্যবহার করে নিচে একটি ব্যক্তিগত চিঠির নমুনা দেখানো হলো:
শিরোনাম...........................................................................................................................২০ শাহবাগ
ঢাকা ১
বৈশাখ১৪১৬
সম্ভাষণ.........👉প্রিয় মিম
মূল পত্রাংশ...👉আজ পহেলা বৈশাখ নববর্ষ। আজকের এই শুভ দিনটিতে তোমাকে জানাই প্রাণঢালাঢ় শুভেচ্ছা। আজ সকালে আব্বু ও আম্মুর সঙ্গে.................।
.....আগামী বছর নববর্ষের আগে তুই ঢাকায় চলে আসবি....................।
তোর দিন কেমন কাটছে জানাবি।
ইতি
তোমার বন্ধু
করিম
চিঠি লেখার নিয়ম ছবি
একটি পরিপূর্ণ চিঠি দেখতে কেমন হয়👇
চিঠি লেখার নিয়ম ছবি |
প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা / english ghkfk
(প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা - প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম english) দুটি নিয়ম এক শুধু ভাষা আলাদা।👇
প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা / english |
শেষ কথা
আশা করি আপনারা এখন থেকে চিঠি লিখতে পারবেন কারণ চিঠি লেখার খুঁটিনাটি সমস্ত নিয়ম কানুন গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।
ধন্যবাদ-Thanks
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url