ডায়াবেটিস এর লক্ষণ

রোগ ও সমস্যা

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ প্রজনন সমস্যা, ঘাম ও ক্ষুধার্ত মনে হওয়া, প্রচণ্ড তৃষ্ণা ইত্যাদি। একটি অস্থায়ী বা স্থায়ী রোগ যা শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে অসমর্থতা তৈরি করে। ডায়াবেটিস এর বিভিন্ন লক্ষণ থাকতে পারে।👇

image

ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল, ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ, ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়, এগুলো ছাড়াও আরো কিছু থাকছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।

পেজ সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ এবং করনীয়

ডায়াবেটিসের লক্ষণ কত প্রকার কি কি

ডায়াবেটিসের দুইটি ধরণ রয়েছে,

প্রথম ধরণ: প্রথম ধরণের ডায়াবেটিস সাধারণত বাচ্চাদের এবং যৌবনের ব্যক্তিদের জন্য আক্রান্ত হয়। এটি সাধারণত আকারে একটি অটোইমিউন ব্যাধি, যা শরীরের স্বাভাবিক কোষসংস্থার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ইনসুলিন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পঞ্চাশকের কোনও পার্ট কাজ করে না।

দ্বিতীয় ধরণ: দ্বিতীয় ধরণের ডায়াবেটিস সাধারণতঃ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য আক্রান্ত হয়। এটি শরীরের কোনও অংশে ইনসুলিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ বা ইনসুলিনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবহার বিঘ্নিত করে এবং রক্ত-শর্করা বেড়ে যায়।

কোন লক্ষণ গুলো থেকে বোঝা যায় ডায়াবেটিস হয়েছে

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ ডায়াবেটিস একটি রোগ যা রক্তে শর্করা এর মাত্রা বাড়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত রক্ত-শর্করা শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার করে।এর লক্ষণগুলি হতে পারে:

আরো পড়ুন: পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ

  • অতিরিক্ত প্রদাহ: ডায়াবেটিসের কারণে অতিরিক্ত প্রদাহ হতে পারে, যা ক্ষুদ্র মচমচে এবং অনিষ্পন্নতা সহজেই সন্ধান করা যেতে পারে।
  • দৃষ্টি সমস্যা: কিছু ডায়াবেটিস রোগীদের দৃষ্টির সমস্যা হতে পারে, যার মধ্যে অস্পষ্ট দৃষ্টি, ডিম এবং অনুচ্ছেদের মধ্যে স্পষ্ট ছত্রাকার অংশের অবস্থান হতে পারে।
  • ত্বকের সমস্যা: ডায়াবেটিস রোগীদের ত্বকের সমস্যা দেখা যেতে পারে। এটি মাংসপেশীগুলির বিপুল ত্বকের প্রতিস্থাপন এর ফলে হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: কিছু ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যা শ্বাসতন্ত্রের সংকট করতে পারে।
  • শক্তি হারানো: ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের পাশের শক্তি হারানো সামান্য একটি লক্ষণ হিসাবে দেখা যায়। এটি হৃদয়, কিডনি এবং পায়ে সাধারণত দেখা যায়।
  • ব্যথা এবং মোচড়াপন: ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের মাথা, হাত এবং পায়ে ব্যথা এবং মোচড়াপন হতে পারে।
  • প্রজনন সমস্যা: ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের প্রজনন সমস্যা হতে পারে। মহিলাদের জন্য, এটি বুকের নিচে বা স্তন এলাকার চারপাশে মোটামুটি ব্যাথা অনুভব করেন।
  • অস্বাস্থ্যকর ওজন কমানো বা বেড়ে যাওয়া: ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর ওজন কমানো বা বেড়ে যাওয়া দেখা যেতে পারে। এটি হার্মোনাল বা অনুবৃত্তিমূলক সমস্যার ফলে ঘটতে পারে।
  • পানিতে অস্বাস্থ্যকর প্রবাহ বা অনিয়মিত পিরিয়ড: কিছু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে পানিতে অস্বাস্থ্যকর প্রবাহ হতে পারে এবং কিছু মহিলাদের জন্য অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা হতে পারে।
  • ক্ষয়কারী রোগের সম্ভাবনা: ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষয়কারী রোগের (যেমন নিমুনিয়া, কফ ইত্যাদি) সম্ভাবনা বাড়তে পারে। এটি মৃত্যুবরণের কারণ হতে পারে।

ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

ডায়াবেটিস নরমাল হলে শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রকৃত অবস্থায় স্বাভাবিক গ্লুকোজ মাত্রা ফাস্টিং রক্তের শর্করা লেভেল (Fasting blood glucose level) হলে 70-100 মিলিগ্রাম/ডিলিটার (mg/dL) এর মধ্যে থাকে। যদি ফাস্টিং রক্ত শর্করা লেভেল 100-125 mg/dL হয়, তবে সেটি প্রডিয়াবেটিক অবস্থা বা প্রাডিয়াবেটিস (Prediabetes) হিসাবে গণ্য হয়।

আরো পড়ুন: মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

যদি ফাস্টিং রক্ত শর্করা লেভেল 126 mg/dL বা তার বেশি হয়, বা রেন্ডম গ্লুকোজ টেস্টে রক্ত শর্করা লেভেল 200 mg/dL বা তার বেশি হয়, তবে ব্যক্তিকে ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগের সঙ্গে সংযুক্ত বলা হয়।

ডায়াবেটিসের না হওয়ার জন্য সর্তকতা

ডায়াবেটিসের জন্য প্রতিষ্ঠিত কিছু সর্তকতা মেনে চললে আপনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে প্রতিরোধ করতে পারেন। নিম্নলিখিত কিছু উপায়ে আপনি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা পেতে পারেন:

  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য: সম্পূর্ণ ওষুধ-তত্ত্ব এবং প্রস্তুতি নয় খাবারের পক্ষে ভালো অবস্থান রাখলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। নিরামিষ, সবুজ সবজি, ফল, পুষ্টিকর গোল্ডেন গ্রেইন ধান এবং সম্পূর্ণ অষুদ্ধতাহীন খাদ্য পদার্থ সম্পর্কে আপনার খাবারের পরিমাণ বা আদান-প্রদান বিবেচনা করুন।
  • শারীরিক শ্রম ও ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক শ্রম ও ব্যায়াম ডায়াবেটিসের ঝুঁকিকে কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত ব্যায়াম করে প্রতিদিনে কমপক্ষে 30 মিনিট পর্যন্ত চলাচল, সাইকেলিং, স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে মাধ্যমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন এবং পর্যাপ্ত শ্রম ও ব্যায়াম অনুসরণ করুন।
  • পরিমিত কার্বোহাইড্রেট সেবন করুন: কার্বোহাইড্রেট সম্প্রসারণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট সেবন করা উচিত। এটা মানে হলো কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য পদার্থ সিলেক্ট করা এবং মিশ্রিত মানে সাথে সাথে ফাইবার সম্পন্ন খাদ্য পদার্থ সেবন করা।
  • স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: স্ট্রেস ডায়াবেটিসের একটি প্রভাবশালী কারক হতে পারে। সময়ের মধ্যে স্ট্রেস বোধ করলে মেধাবী, প্রাকৃতিক মনোবিজ্ঞানিক বিশ্রাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্ট্রেসকে কমিয়ে আনা যায়। মেডিটেশন, যোগাসন, নিয়মিত বিনোদন, সম্প্রদায়ে সময় বিতাড়ন ইত্যাদি স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করতে পারে।
  • নিরামিষ পরিবেশ: নিরামিষ পরিবেশে থাকা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। গোমূত্র, মাখন, তেল, প্রস্তুত খাবারে কম অশুদ্ধতার জন্য নিরামিষ পরিবেশ উপযুক্ত।
  • সময়ের সাথে নিয়মিত ঘুম: সময়ের সাথে নিয়মিত ঘুম ডায়াবেটিসের প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ধূমপান ও মাদক ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন: ধূমপান ও মাদক ব্যবহার ডায়াবেটিস ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে এবং হৃদয়ের সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়াও এই উভয় খারাপ অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়।

শেষ কথা

ডায়াবেটিস আমাদের জীবনে একটি বড় ব্যস্ততার সৃষ্টি করেছে যেটা প্রতিদিনই আমাদেরকে ভুগতে হয় তাই আসুন  ডায়াবেটিস হওয়ার পূর্বেই নিজে সচেতন হয় এবং অন্যকে সচেতন করি।

ধন্যবাদ-Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন 👇🏼 (Share it)

Before. পূর্বের পোস্ট দেখুন After. পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url