পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য ও কৌশল এবং ইসলামিক উপায়

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য ও কৌশল এবং ইসলামিক উপায়, স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার খাবার এবং কোন সময় পড়লে মনে থাকবে, দৈনিক কত ঘন্টা পড়া উচিত, ব্যায়াম ইত্যাদি থাকছে আমাদের আজকের আর্টিকেলে।

image

সম্মানিত পাঠক, আপনি একজন শিক্ষার্থী হোন আর না হয়ে থাকেন, প্রত্যেকেরই এ বিষয়গুলো জানা উচিত। এ বিষয়গুলো জানলে, আপনি শিক্ষার্থী না হলেও হয়তো আপনার দ্বারা অন্য কেউ উপকৃত হবে। তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

সূচিপত্র: পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য ও কৌশল এবং ইসলামিক উপায়

(নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন)

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য ও কৌশল

পড়া মনে না থাকা এটি খুবই কমন একটি সমস্যা। একজন স্টুডেন্ট যত ভালোই হোক না কেন তারও অনেক সময় এই সমস্যা হয়। দেখা যায় পূর্বের অনেক কথাই আমরা একবার শুনেছি বা দেখেছি সেগুলো হুবহু আমাদের মনে থাকে।

কিন্তু পড়া আমাদের সেভাবে মনে থাকে না। সুপ্রিয় পাঠক, পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল আছে যেগুলো আপনি অবলম্বন করে সহজেই পড়া মনে রাখতে পারবেন। তাহলে চলুন, জেনে নেয়া যাক পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য ও কৌশল গুলো:

  1. ফ্রেশ মাইন্ডে পড়তে বসা
  2. পড়ার পাশাপাশি লেখার চর্চা
  3. বিরতি নিয়ে পড়া
  4. নিয়মিত রিভাইস এবং অনুশীলন করা
  5. ফ্ল্যাশ কার্ড পদ্ধতিতে পড়া
  6. মিউজিক
  7. প্যারা আকারে পড়া
  8. বিভিন্ন গল্প বা ঘটনাকে মিলিয়ে পড়া
  9. কঠিন পড়া গুলো চোখের সামনে রাখা
  10. আত্মনিয়ন্ত্রণ
  11. পড়ার পরিবেশ
  12. ক্লাস করার সময় পড়ার প্রতি মনোযোগী থাকা
  13. পর্যাপ্ত ঘুম
  14. পড়াকে মজার বিষয়ে পরিণত করা
  15. সহপাঠীদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করা
  16. পড়াশোনায় অমনোযোগীদের সাথে কম মেলামেশা করা

পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল গুলোর প্রতিটা পয়েন্ট অনুগ্রহ করে খুব ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন। গোপন কৌশল এজন্যই বলছি কারণ বিষয়গুলো অনেকে জানে কিন্তু গুরুত্ব দেয় না। আমি বলব আপনি অন্তত একবার ট্রাই করে দেখুন।

ফ্রেশ মাইন্ডে পড়তে বসা: পড়ালেখা হচ্ছে সাধনার বিষয়। আপনার পড়ার প্রতি প্রচুর ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকতে হবে। আপনি যে বিষয়টি পড়া শুরু করেন না কেন একদম ফ্রেশ মাইন্ডে আগ্রহের সাথে মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

তখন আপনার একটাই ফোকাস থাকবে হবে যে, পড়াটি আপনার ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। পড়াটি খুবই সহজ এবং অবশ্যই আমি তা পারবো এই মনোভাব রাখতে হবে। এভাবে ফ্রেশ মাইন্ডে পড়া শুরু করে দেখবেন সহজে পড়াগুলো আপনার মনে থাকছে।

পড়ার পাশাপাশি লেখার চর্চা: একবার লেখা তিনবার পড়ার সমান। প্রিয় পাঠক, এ বিষয়টি আপনি নিজে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

যদি আপনি পড়া শুরু করেন পাশাপাশি সে পড়াটি লিখবেন। অথবা যদি পড়াটি পড়ে আপনি মুখস্ত করেন তারপরে তা আবার না দেখে লিখবেন। এতে করে আপনার পড়া অনেকদিন মনে থাকবে।

আরো পড়ুন: বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার বিশেষ ৫ টি যোগ্যতা

বিরতি নিয়ে পড়া: আপনি কোন একটা বিষয়ে পড়া শুরু করলে মাঝখানে কিছুটা বিরতি নিবেন। এতে আপনার পড়তে গেলে মেন্টাল চাপ কম পড়বে এবং পড়াটাকে বিরক্তিকর মনে হবে না।

তবে বিরতির ক্ষেত্রেও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি একটু পড়ে সারাদিন আর পড়লেন না এমনটাও করা যাবে না। মাইন্ড ফ্রেশ হওয়ার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু বিরতি নিবেন নিয়ে আবার পড়া কমপ্লিট এর জন্য পড়তে বসবেন।

নিয়মিত রিভাইস এবং অনুশীলন করা: পাঠক, পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য ও কৌশল গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মুখস্থ করা পড়া নিয়মিত রিভাইস করা এবং অনুশীলন করা। এতে করে পড়া দীর্ঘদিন আপনার মনে থাকবে এবং বিষয়টি সহজ মনে হবে।

ফ্ল্যাশ কার্ড পদ্ধতিতে পড়া: ফ্ল্যাশ কার্ড বর্তমানে এই নামটি অনেকের কাছেই নতুন মনে হবে। কিন্তু প্রাচীনকালে এর বেশ ব্যবহার ছিল।

আপনি ছোট কয়েকটা কার্ড তৈরি করবেন এবং তাতে আপনার পড়ার মূল বিষয় লিখবেন। এতে করে পঠিত বিষয় গুলো আপনার সহজে মনে থাকবে।

মিউজিক: মিউজিক বা সংগীত আমাদের মনকে ভালো রাখে, ফ্রেশ রাখে, বিভিন্ন চিন্তা থেকে দূরে রাখে। পড়ার ক্ষেত্রেও মিউজিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পড়ার সময় হালকা সংগীত চালু রাখতে পারেন।

প্যারা আকারে পড়া: কোন বড় একটি পড়া আমরা যদি একসাথে শিখতে চাই তাহলে দেখা যাবে সেটা শিখতেও বেশ সময় লাগবে এবং অনেক সময় পুরোটা মনেও থাকে না।

এক্ষেত্রে পড়াটিকে যদি আমরা ছোট ছোট প্যারা করে পড়ি তাহলে দেখবো সহজেই পড়া মনে থাকবে।

বিভিন্ন গল্প বা ঘটনাকে মিলিয়ে পড়া: পড়া মনে রাখার রহস্য ও কৌশল হিসেবে বিভিন্ন ঘটনা বা গল্প এর সাথে মিল রেখে পড়া খুবই কার্যকর।

আপনি যে পড়াটি পড়বেন তার সাথে আপনার নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা অথবা আপনার জানা বিভিন্ন গল্পের সাথে মেলান। তাহলে দেখবেন আপনি যে পড়াটি পড়ছেন সে পরোটা দীর্ঘদিন মনে থাকবে ও সহজে তা ভুলবেন না।

কঠিন পড়া গুলো চোখের সামনে রাখা: সব পড়া একরকম হয় না। কিছু পড়া থাকে যা খুব সহজেই আমাদের মুখস্ত হয়ে যায়। কিন্তু কিছু পড়া থাকে যা বেশ কঠিন। পড়লেও মনে থাকে না একটু পরে ভুলে যাই।

এক্ষেত্রে আমরাও কিছু কাজ করতে পারি। এই পড়া গুলো আমরা বারবার পড়ার পাশাপাশি আমাদের ঘরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে টেবিলের সামনের দেয়ালে কাগজে লিখে টানিয়ে রাখতে পারি।

ফ্ল্যাশ কার্ডের কথা আমরা পুর্বেই আলোচনা করেছি। এরকম ফ্লাস কার্ডে লিখে ঘরের বাইরেও পড়াগুলো পড়তে পারি।

আত্মনিয়ন্ত্রণ: মানুষের জীবনে বন্ধু অবশ্যই দরকার হয়, তাদের সাথে হাসি, আড্ডা, খেলাধুলা করতে হয়। কিন্তু বন্ধুর সাথে সব সময় পড়ালেখা বাদ দিয়ে আড্ডা দেয়া যাবে না। বরং বন্ধুকে পড়াশোনার সাথী বানাতে হবে।

পড়ার পরিবেশ: সুন্দর, গোছালো ও পরিপাটি পরিবেশ মানুষের মন ভালো রাখে। সুপ্রিয় পাঠক আপনার পড়ার টেবিলটি যদি হয় গোছালো তাহলে দেখবেন আপনার পড়তেও ভালো লাগবে। প্রয়োজন ছাড়া অযথা বই এনে টেবিলে স্তুপ করে রাখা ঠিক নয়।

ক্লাস করার সময় পড়ার প্রতি মনোযোগী থাকা: শিক্ষক যখন ক্লাস নেয়, পড়াটি বুঝিয়ে বলেন তখন মনোযোগ থাকলে একজন স্টুডেন্ট সহজে তা বুঝতে পারেন। এমনকি কোন জায়গায় না বুঝতে পারলে শিক্ষক তা আরো ভালোভাবে এক্সপ্লেইন করেন।

ফলে স্টুডেন্টের বিষয়টি মনে থাকে। আর বাসায় এসে বিষয়টি কয়েকবার পড়লে তা দীর্ঘ দিনের জন্য মাথায় গেঁথে যায়।

পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম ব্যতীত কোনদিনই পড়া মনে রাখা যাবে না। একজন মানুষের দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার। এতে মাইন্ড ফ্রেশ থাকবে ও পড়াও মনে থাকবে।

পড়াকে মজার বিষয়ে পরিণত করা: পড়াকে আনন্দদায়ক বিষয়ে পরিণত করতে হবে। অনেক সময় পড়াকে সংক্ষিপ্ত করে বিভিন্ন ছড়া বানিয়ে বা কোন লাইন তৈরি করে মনে রাখা যায়।

সহপাঠীদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করা: পড়াকে দীর্ঘদিন মনে রাখতে হলে গ্রুপ স্টাডির কোন বিকল্প নেই। সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি আপনার পড়াকে সহপাঠীদের সাথে মিলে পড়েন তাহলে দেখবেন সহজে তা মনে থাকছে।

পড়াশোনায় অমনোযোগীদের সাথে কম মেলামেশা করা: পড়াশোনায় যারা অমনযোগী তাদের সাথে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং যারা বেশি পড়াশোনায় সিনসিয়ার তাদের সাথে মিশতে হবে। তারা কিভাবে তাদের পড়াকে মনে রাখে সে সম্পর্কে ডিসকাস করতে হবে।

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য এই পয়েন্ট গুলো আপনি কিছুদিন ট্রাই করে দেখুন। আমি বিশ্বাস করি আপনি নিজের চমকে যাবেন। এরপর আরো কিছু পয়েন্ট রয়েছে সেগুলো হলো,

দীর্ঘদিন পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায় ও দোয়া

image

পড়া দীর্ঘদিন মনে বা স্মৃতিশক্তিতে থাকার জন্য পড়া মনে রাখার দোয়া ও ইসলামিক উপায় গুলো নিম্নরূপ:

পড়া মনে রাখার জন্য সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

দোয়া, সুবহানাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা ইন্নাকা, আনতাল আলিমুল হাকিম। এর বাংলা অর্থ হল: "(হে আল্লাহ) আপনি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় আপনিই প্রকৃত জ্ঞান সম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে এই দোয়াটি পড়তে পারেন। রব্বি জিদনি ইলমা এর বাংলা অর্থ- "হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সূরা ত্বহা, আয়াত ১১৪)। সম্মানিত পাঠক, এই দোয়াটিও নিয়মিত পাঠ করুন। আল্লাহর রহমতে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

সুপ্রিয় পাঠক, আপনাকে নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। শিক্ষকদের প্রতিটি কথা মেনে চলতে হবে, মনোযোগ দিতে হবে। তাহলে আপনি সহজেই পড়া দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারবেন।

পড়া দীর্ঘস্থায়ী মনে থাকবে এরকম ইসলামিক আরেকটি উপায় হচ্ছে অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে দূরে থাকা। কেননা মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হলো অন্যায় ও পাপ কাজ করা।

আল্লাহর উপর ভরসা রেখে কোন একটি পড়া আয়ত্ত না হওয়া পর্যন্ত তা শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে দেখা যাবে হতে এক সময় পড়া মুখস্থ হবে এবং মনে থাকবে। আশা করি আপনারা পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায় পয়েন্টটি বুঝতে পেরেছেন।

পড়া মনে রাখা বা স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য কি খাবার খাওয়া যায়

মানুষের শারীরিক সুস্থতা অনেকটা খাবারের উপর নির্ভরশীল। পড়া দীর্ঘস্থায়ী হওয়া বা স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য নিন্মুক্ত খাবার গুলো খাওয়া যেতে পারে।

  • সুষম খাবার
  • জয়তুনের তেল
  • মধু
  • ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড
  • প্রোটিন
  • ভিটামিন বি১২
  • বাদাম
  • বিভিন্ন প্রকার ডাল
  • গাজর
  • খাবার হলুদ
  • বিভিন্ন বীজ
  • বিভিন্ন জাতের রঙ্গিন ফলমূল
  • বিভিন্ন জাতের শাকসবজি
  • প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা।

উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো আপনারা বিবেচনা করে একটি সুন্দর রুটিন তৈরি করে নিবেন এবং বেশ কয়েকটি পয়েন্টের লিংক করা হয়েছে প্রয়োজনে আপনারা সেগুলো একটু দেখে নিবেন।

কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে

সুপ্রিয় পাঠক, আমাদের অনেকের মনের প্রশ্ন, কোন সময় পড়া বেশি মনে থাকে। এ নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন গবেষকদের বিভিন্ন ধরনের মত।

কারো কারো মতে, সকাল দশটা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত, কারো মতে, বিকেলে আসরের আগ পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত পড়লে বেশি মনে থাকে।

আবার অনেকে মনে করেন, শেষ রাতের বা ভোর রাতের পড়া বেশি মনে থাকে। এজন্য ভোর চারটা থেকে পড়া শুরু করলে সে সময় পড়া বেশি মনে থাকবে।

আমার মতামত আপনি যদি অল্প সময়ে আপনার পড়াগুলো কমপ্লিট করতে চান তাহলে আপনার জন্য সঠিক সময় হচ্ছে ১ দ্রুত ঘুমিয়ে যাবেন ২ ফজরে নামাজ পড়ে আপনার পড়াগুলো কমপ্লিট করতে শুরু করবেন।

কারণ আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিশ্রাম এর প্রয়োজন আমাদের উচিত সঠিক সময় সঠিক কাজটি সম্পন্ন করা। সেজন্য আপনার সুবিধা মত সুন্দর একটি রুটিন এর প্রয়োজন আশা করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

দৈনিক কত ঘন্টা পড়া উচিত - একটানা কতক্ষণ পড়া উচিত?

সারাদিন পড়লে মনে হয় পড়া মনে থাকবে এ ধরনের চিন্তা অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। আপনি পড়ার ক্ষেত্রে একটি রুটিন করবেন এবং সেই রুটিন অনুযায়ী বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়ে আয়ত্ত করার চেষ্টা করবেন।

এতে যতটুকু সময় আপনার লাগে। একটানা পড়া শুরু করলে তা আপনার বিরক্তিবোধ এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

তাই আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা পড়ার পর কিছুটা সময়ের জন্য ব্রেক নিবেন। তারপর আবার পড়া শুরু করতে পারেন এটা আপনার শরীর-মন দুটোই ভালো থাকবে এবং পড়তেও বিরক্ত লাগবে না।

পড়া মনে রাখার ব্যায়াম গুলো কি কি?

আমরা জানি, স্বাস্থ্যই সম্পদ। সুপ্রিয় পাঠক, আপনার শরীর যদি ভালো থাকে তাহলে আপনার মন ভালো থাকবে। আর মন ভাল থাকলে আপনি যেকোনো পড়া পড়লে সহজে মুখস্ত করতে পারবেন এবং দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারবেন।

পড়া দীর্ঘদিন মনে থাকবে যদি আপনি নিন্মুক্ত ব্যায়ামগুলো করতে পারেন।

  • হাঁটলে আমাদের শরীর হালকা মনে হয়, মস্তিষ্ক ঠিকঠাক কাজ করে। ফলে কতক্ষণ হাঁটার পর পড়াশোনা করলে তা আমাদের মনে থাকবে।
  • পড়া মনে রাখার ব্যায়াম হিসেবে আপনি মেডিটেশন করতে পারেন। মেডিটেশন করলে আমাদের শরীর মন দুটোই ভালো থাকে। আমাদের কাজের স্পিড বেড়ে যায়। পড়লে তা মনে থাকে।
  • বিভিন্ন ব্যায়ামের টুলস দিয়ে শারীরিক ব্যায়াম করা
  • টুলস না থাকলে আপনি ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন।

উপসংহার-শেষ কথা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমি নিশ্চিতভাবে একথা বলতে পারি যে, পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য ও কৌশল এবং ইসলামিক উপায় সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন।

সুপ্রিয় পাঠক, এই কৌশল এবং উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অনেক দূর এগিয়ে যাবেন। আর সেই প্রত্যাশায় আজ এখানেই শেষ করছি, আল্লাহ হাফেজ। R it firrm (1219)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
Comment মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url