বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এবং র‍্যাঙ্ক করার ১৬ টি সেরা টিপস

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো ভালোভাবে জানলে যে কেউ বাংলা আর্টিকেল লিখে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় আর্টিকেল লেখা খুবই সহজ। কিন্তু আপনি যদি একটি মানসম্মত, তথ্যবহুল, ভালো আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে বেশ কিছু নিয়ম কানুন ও কৌশল আপনাকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।

image

আপনার লেখনীর মাধ্যমে আপনাকে পাঠক বৃন্দের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। আর্টিকেলটি এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে পাঠক আর্টিকেলের বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানতে পারে ও গভীর জ্ঞান লাভ করতে পারে। সুপ্রিয় পাঠক, চলুন আমরা এখন বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জেনে নেই।

সূচিপত্র: বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এবং এসইও করার ১৬ টি সেরা টিপস

একটি এসিও ফ্রেন্ডে আর্টিকেল লিখে গুগলে র‍্যাঙ্ক করা করার জন্য খুঁটিনাটি বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে, অনুগ্রহ করে প্রতিটা পয়েন্ট পড়বেন তাহলে বুঝতে সহজ হবে। এবং আমরা প্রতিটা পয়েন্ট পর্যায়ক্রমে আলোচনা করব।

আর্টিকেলে টাইটেল লেখার সঠিক নিয়ম

আর্টিকেল হল কিছু নিয়ম-নীতি মেনে একটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্যাদি লেখা। একটি আর্টিকেল শুরু হয় টাইটেল দিয়ে। তাই কোন আর্টিকেলের টাইটেল বা শিরোনাম এমন হতে হবে যাতে পাঠকের কাছে তা খুবই আকর্ষণীয় হয়। আর্টিকেলের টাইটেল কোন পাঠকের নজরে আসলেই যাতে সে বুঝতে পারে যে আর্টিকেলটি পড়লে তিনি কি কি বিষয়ে জানতে পারবেন।

কোন আর্টিকেলের টাইটেল যদি পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে পাঠক সে আর্টিকেলটি এড়িয়ে যান। তাই আর্টিকেলের টাইটেল লেখার সময় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও টাইটেল লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। সেগুলো হলো:

  • একটা আর্টিকেলের টাইটেল ৬ শব্দ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
  • আর্টিকেলের টাইটেলের ক্যারেক্টার হবে ৬০ এর মধ্যে
  • মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড টাইটেলে শুরুর দিকে লেখার চেষ্টা করতে হবে
  • টাইটেল এ যেকোনো সংখ্যা যোগ করা উচিত
  • "SEO power word" মানে নজর কারা কয়েকটি শব্দ যোগ করতে হবে
  • অতিরিক্ত স্পেস ব্যবহার করা যাবে না
  • মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড সর্বোচ্চ ২ টি বসানো যাবে এবং ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করলে শব্দ ২ টির মধ্যবর্তী স্থানে হাইফেন চিহ্ন (-) বসিয়ে লিখতে হবে।
টাইটেলের ক্ষেত্রে এই অল্প কয়েকটি নিয়ম মেইনটেইন করলে আপনার আর্টিকেল গুগলে র‍্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে এবং ক্লিক করে সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ফোকাস কিওয়ার্ড এর ব্যবহার

সুপ্রিয় পাঠক, আমরা এখন ফোকাস কিওয়ার্ডের ব্যবহার সম্পর্কে জানবো। সঠিক ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড টি এমন হতে হবে যাতে এর দ্বারা পুরো আর্টিকেল সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পাওয়া যায়।

এটি যাতে আর্টিকেলের মূল বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং মানুষ অধিক পরিমাণে সার্চ ইঞ্জিনে তা সার্চ করে থাকে। আর্টিকেল গুগলে র‍্যাংক না করা বা গুগলের প্রথম পেজে না থাকার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন সঠিক না হওয়া।

পাঠক ধরুন, আপনি একটি আর্টিকেল লিখছেন যার টাইটেল হচ্ছে "ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সেরা ১০টি স্কিল" এখানে আপনাকে দেখতে হবে টাইটেলের কোন অংশটুকু দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে মানুষ সার্চ করবে? আর সেটি হবে এই আর্টিকেলের ফোকাস কিওয়ার্ড। এই টাইটেলটিতে ফোকাস কিওয়ার্ড হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

এই ফোকাস কিওয়ার্ড পুরো আর্টিকেল জুড়ে ৮ থেকে ১০ বার লিখতে হবে। এটা অবশ্য আপনার আর্টিকেলের লেন্সের উপর ডিপেন্ড করছে আপনারা ০.১% হারে আর্টিকেলের মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করবেন।

এবং মেইন কিওয়ার্ড রিলেটেড যতগুলো বিষয় সার্চ হয় সেগুলো আপনার আর্টিকালের মধ্যে ইনক্লুড করার করবেন। নিচে একটা ছবি দেওয়া হল

image

আপনারা যদি কিওয়ার্ড এর পাশে ( - ) চিহ্নটি একবার বসান তাহলে আরো কি কি সার্চ হয় সেগুলো দেখতে পাবে এবং সেগুলো আপনার আর্টিকেলে ইনক্লুড করলে সার্চ ভ্যালু আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং আরও বেশি ভিজিটর আসার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে এটি একটি সিক্রেট টিপ।

এবং র‍্যাঙ্ক করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট আপনি যদি এড়িয়ে যান তাহলে সেই আর্টিকেলটিতে যথেষ্ট ইম্প্রেশন আসবেনা। ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই এই বিষয়টি আমাদের নজরে থাকা উচিত।

আর্টিকেল লেখার ফোকাস কিওয়ার্ড কিভাবে নির্বাচন করবো

বাংলা আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড কিভাবে নির্বাচন করতে হয় তা নিম্নে দেয়া হল:

  • পাঠক আপনাকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যেয়ে Ahrefs keyword, Google keyword planner, Neilpatel ইত্যাদি ওয়েবসাইটে গিয়ে সার্চ করে কিছু কিওয়ার্ড নিয়ে আপনার ডিভাইসে সিরিয়াল করে রাখতে হবে।
  • এসব কিওয়ার্ডের মধ্যে যেগুলোর সার্চ ভলিউম বেশি এবং কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি কম বা র‍্যাঙ্ক করা সহজ সেরকম ৪-৫টি কিওয়ার্ড নিতে হবে।
  • এগুলোর মধ্য থেকে ফোকাস কিওয়ার্ড হিসেবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যটিকেই নির্বাচন করতে হবে।

আর্টিকেলে ভূমিকা বাটন এর ব্যবহার

আর্টিকেল শুরুতে একটি বাটন অপশন রাখতে হবে যাকে ভূমিকা বাটন বলা হয়ে থাকে। কোন আর্টিকেলের ভূমিকা বাটনটিতে এই আর্টিকেল রিলেটেড অন্য আর্টিকেলের লিংক দেয়া থাকে বিধায় একজন পাঠক সহজেই অন্য আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে পারে এবং তার ইচ্ছা হলে ভূমিকা বাটনে চাপ দিয়ে সেই আর্টিকেলে প্রবেশ করতে পারে। ভূমিকা বাটনে শব্দের সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয়টি।

আর্টিকেলের শুরুতে ভূমিকার গুরুত্ব

ভূমিকা দিয়ে বাংলা আর্টিকেল লেখা শুরু করতে হবে এবং ভূমিকাটি হবে এরকম যা পাঠক পড়লে সহজেই বুঝতে পারেন যে লেখক আর্টিকেলটিতে কি বুঝাতে চেয়েছেন। আর্টিকেলের ভূমিকা তেমন বড় করা যাবে না।

প্রথম অংশের পরে এটি ইমেজ ভূমিকায় দিতে হবে। পরর্বতীতে দ্বিতীয় অংশও এরকম কয়েক লাইনের হবে। ভূমিকা আকারে ছোট হলেও এটি বেশ তথ্যবহুল হতে হবে যাতে পাঠকবৃন্দ ভূমিকাটি পড়ার পর পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্যও ইন্টারেস্ট ফিল করে।

ভূমিকার শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড  রাখার চেষ্টা করতে হবে। ভূমিকায় আর্টিকেলের মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড কয়েকবার লিখতে হবে। কোন কোন বিষয় আর্টিকেলে বিস্তারিত লেখা আছে তা সংক্ষেপে ভূমিকাতে তুলে ধরতে হবে। মেটা ডিস্ক্রিপশনকে ভূমিকার সাথে কোনভাবেই গুলিয়ে ফেলা যাবে না।

বেশ কিছু রিসার্চ এর মাধ্যমে দেখা গিয়েছে গুগল এর রোবট একটি আর্টিকেলের প্রথম ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কি তথ্য রয়েছে তা রিসার্চ করে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে যায়। সেজন্য আর্টিকেল লেখার সময় একটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

আর্টিকেলের ফিচার ইমেজ যুক্তকরণ

একটানা কোন কিছুই ভালো লাগেনা। কোন আর্টিকেলে যদি একটানা শুধু লেখায় হয়ে থাকে তা পড়তে অনেক সময় একজন পাঠকের কাছে বিরক্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। এজন্য আর্টিকেলের লেখার মাঝে কম হলেও দুইটি ইমেজ যুক্ত করা উচিত।

পাঠকের কাছে একটি আর্টিকেলকে অর্থবোধক করে তোলার জন্য এই ফিচার ইমেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেন্টার এলাইনমেন্ট দিয়ে ইমেজ গুলো আর্টিকেলে বসাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ফিচার ইমেজের সাইজ রেজুলেশন ইমেজটি এসইও ফ্রেন্ডলি কি? সেদিকে নজর রাখা উচিত।

আপনারা চেষ্টা করবেন WEBP ফরমেটের ছবিটি আপলোড করার এবং 100,KB মধ্যে রাখার এছাড়াও আরো একটি কাজ করলে র‍্যাঙ্ক এ ভালো রেজাল্ট পাওয়া যেতে পারে সেজন্য ছবির মধ্যে অল্টারটেক্স রাখার চেষ্টা করবেন।

আর্টিকেলের সূচিপত্র লেখার নিয়ম

সূচিপত্র হচ্ছে অনেকটা আয়নার মতন। একটি আয়নার দিকে তাকালে যেমন নিজেকে কেমন দেখা যায় তা পরিষ্কারভাবে নিজে দেখতে পারি ঠিক তেমনি আর্টিকেলের বা কোন কিছুর সূচিপত্রর দিকে তাকালে আমরা বুঝতে পারি সে আর্টিকেলটি বা সূচিপত্রটি আসলে কেমন, তাতে কোন কোন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

একজন পাঠক আর্টিকেলের সূচিপত্র দেখে যে অংশটি তার কাছে ভালো লাগে বা যে অংশটি সে পড়তে চায়, সূচিপত্রের সে অংশে চাপ দিলে দ্রুত সে বিস্তারিত লেখায় তাকে নিয়ে যাবে। আর এই কাজটি হয় আর্টিকেলের সূচিপত্রে লিংক করার মাধ্যমে।

লেখাগুলোকে প্যারাগ্রাফ আকারে গুছিয়ে লেখা

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আর্টিকেলের লেখাগুলোকে প্যারাগ্রাফ আকার গুছিয়ে লেখা। প্রতিটি প্যারা চার থেকে পাঁচ লাইন এর বেশি লেখা যাবে না। যদি বিশদ বর্ণনা লিখতে হয় সেক্ষেত্রেও কয়েকটি প্যারা করে লিখতে হবে এবং প্রতিটি প্যারা চার থেকে পাঁচ লাইনই হবে।

প্যারা করে লিখলে সে লেখা পড়তে গিয়ে পাঠকের কোন প্রকার বিরক্ত বোধ হয় না। বরং সে লেখা পড়তে আরো সহজবোধ্য মনে হয়। তখন পাঠক অনেক মনোযোগ দিয়ে সে আর্টিকেলের লেখা পড়ে থাকেন।

আর্টিকেলে আরো পড়ুন সেকশন এর ব্যবহার

বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম এ এখন আমরা জানবো আর্টিকেলে সেকশন কাকে বলে। আপনার আর্টিকেলের সাথে রিলেটেড অন্য বিষয় এর আর্টিকেল সম্পর্কে পাঠক যাতে জানতে পারে এবং সহজেই পড়ার জন্য সে আর্টিকেলে যেতে পারে তার জন্য লিংক করা হয় 'আরো পড়ুন' সেকশনে।

একটি আর্টিকেলে আরো পড়ুন সেকশনটি কয়েকটি জায়গায় দেওয়া যায়। যেমন: আর্টিকেলের শেষের অংশগুলোতে, আর্টিকেল প্যারা করে লিখলে সেই প্যারা গুলোর মধ্যবর্তী স্থানে ইত্যাদি।

এছাড়াও আর্টিকেলের আলোচনার মধ্যে একটি বিষয় আলোচনা করতে করতে সেই মেইন কিওয়ার্ডের উপর লিংক করলে গুগল সেটার বেশি ভ্যালু দেয়।

যেমন: সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম করার পূর্বে আপনার জানা উচিত সিপিএ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? আপনি যদি এ বিষয়টি স্বচ্ছ ভাবে জানেন তাহলে ইনকাম করা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে।

লক্ষ্য করুন আমি একজনকে সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু বলতে ছিলাম এবং সেই প্যারাটির মধ্যে আমি একটি লিঙ্ক করে দিয়েছি, এভাবে লিংক করলে গুগলের কাছে লিংকের ভ্যালু বেশি পাওয়া যায়।

আর্টিকেলের নাম্বার বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করার নিয়ম

একটি আর্টিকেলকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখার ক্ষেত্রে নাম্বার, বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। মানুষ সুন্দরের পূজারী। নাম্বার, বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করলে আর্টিকেলের তথ্যগুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা যায়।

নাম্বার, বুলেট পয়েন্টের কারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সাধারণত এড়িয়ে যায় না, তা পাঠকের চোখে পড়ে। এতে পাঠক সহজেই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আকৃষ্ট হয় এবং আর্টিকেলে প্রদত্ত তথ্যগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে।

image

এবং অনেক সময় টেবিল আকারে তথ্য উপস্থাপনের প্রয়োজন হয় আপনারা যদি টেবিল তৈরি করতে না পারেন তাহলে এই লিংকে ক্লিক করে খুব সহজেই টেবিল তৈরি করতে পারবেন।

আপনারা জাস্ট কয়টি কলাম এবং কয়েকটি রো নিতে চাচ্ছেন সংখ্যা বসিয়ে নিচে তথ্যগুলো দিবেন এরপর একটু নিচে বেশ কিছু HTML কোড পাবেন সেগুলো কপি করে আপনার ওয়েবসাইটে ড্যাশবোর্ডে পেস্ট করলেই টেবিল তৈরির কাজ হয়ে যাবে।

আর্টিকেলে প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্যসমূহ যোগ করা

আর্টিকেল মূলত সেই বিষয়ের তথ্য ভান্ডার স্বরূপ। যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে হয় সে বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য যা পাঠক সমাজ জানতে চায় তা আর্টিকেলে যোগ করতে হয়। কোন অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আর্টিকেলে যোগ করা উচিত নয়।

প্রয়োজনীয় যে তথ্যগুলো দ্বারা আর্টিকেল লিখা হবে তা সঠিক কিনা সেগুলো আর্টিকেল লেখার পূর্বে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক এবং সঠিক তথ্য না থাকলে পাঠক সে আর্টিকেল এড়িয়ে যাবে আর পড়বেন না। তাই আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আর্টিকেল এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে পাঠক মনে করেন যে তার সাথে আপনি সরাসরি কথা বলছেন। আর্টিকেলে "পাঠক, আপনি, আপনার, আমরা, আমি" ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করলে পাঠক কমফোর্টেবল ফিল করে, মনে হয় আপনি তার সাথে কথা বলছেন।

উপসংহার বা শেষ কথা কিভাবে লিখবো

আর্টিকেলের শুরুতে যেমন ভূমিকা লিখতে হয় ঠিক তেমনি শেষে উপসংহার বা শেষ কথা দ্বারা। এ অংশে আর্টিকেলের সারসংক্ষেপ উপস্থাপনের পাশাপাশি লেখকের মতামত কে তুলে ধরা উচিত। যাতে করে একজন পাঠক আর্টিকেলটির গুরুত্ব বুঝতে পারে।

উপসংহার খুব বেশি বড় করার দরকার নেই। অল্প কথার মধ্যে গুছিয়ে সারসংক্ষেপ এবং লেখকের মন্তব্য কে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে হবে।

আর্টিকেল ফরমেটিং করা

আর্টিকেল লেখার পর তার সুন্দরভাবে ফরমেটিং করতে হবে। ফরমেটিং এর কিছু কাজ আছে যার কারণে আর্টিকেলটি পাঠকের নজরে আসে। যেমন: হেডিং, সাবহেডিং, ইটালিক, বোল্ড, জাস্টিফাই, হাইপারলিংক ইত্যাদি ব্যবহার করার মাধ্যমে একটি আর্টিকেল এর উপস্থাপন সুন্দর হয়।

ইটালিক করলে ফ্রন্ট ডিজাইন চেঞ্জ হয় এবং বোল্ট করলে তা সহজে পাঠকের দৃষ্টিতে পড়ে। জাস্টিফাই করলে আর্টিকেলের লাইনগুলো ছোট বড় না হয়ে এক মিলে হয় যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। তাই আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ফরমেটিং এর কাজগুলো করে নিতে হবে।

আর্টিকেলে স্পেস লাইন গ্যাপ দেয়ার নিয়ম

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি একজন বাংলা আর্টিকেল রাইটার হতে চান তাহলে আপনাকে আর্টিকেলে স্পেস, লাইন গ্যাপ দেয়ার নিয়ম ভালোভাবে জানতে হবে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। আর্টিকেলের ক্ষেত্রেও তাই।

আরো পড়ুন: ধনী হওয়ার শক্তিশালী ১ টি আমল

আর্টিকেলে আপনি অতিরিক্ত স্পেস, লাইন গ্যাপ দেওয়া উচিত না। আপনি দুটি ওয়ার্ড এর মধ্যে একটি স্পেস দিতে পারবেন এবং প্যারা করে লিখলে সেখানে এক লাইন এর বেশি গ্যাপ রাখা উচিত না।

বাংলা আর্টিকেলে অবশ্যই আপনি দাড়ি, কমা ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু এগুলোর পরের স্পেসটিও আর্টিকেলে রাখতে হবে। এন্টার বা স্পেস আর্টিকেলের একদম শেষে ছাড়া অন্য জায়গায় দিতে পারবেন।

সার্চ ডিস্ক্রিপশন কিভাবে লিখব?

যখন কোন আর্টিকেলের মূল বিষয়কে অল্প কথায় সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা হয় তখন সেই লেখাকে ঐ আর্টিকেলের সারমর্ম বলা হয়। আর্টিকেলে যে সার্চ ডিস্ক্রিপশন বা মেটা ডিস্ক্রিপশন লেখা হয় তা মূলত ঐ আর্টিকেলের সারমর্ম। সার্চ ডিসক্রিপশন আপনার ইচ্ছা মত লিখলেই হবে না।

এটা লেখার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক শব্দ ব্যবহার করতে হবে। একটি সার্চ ডিসক্রিপশন লিখতে সর্বোচ্চ ১৫০টি শব্দ আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এর বেশি শব্দ ব্যবহার করার কোন অপশন নেই। বিশেষ করে গুগল ব্লগার ওয়েবসাইটে।

আর্টিকেল লেখার সময় সেটিংস অপশনে গেলে আপনি সার্চ ডিসক্রিপশন বা মেটা ডিস্ক্রিপশন খুঁজে পাবেন। সেখানে আপনি আপনার মত করে ১৫০ শব্দের মধ্যে আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তুকে তুলে ধরবেন।

অবশ্য গুগল কখনো আপনার লেখা সার্চ ডিস্ক্রিপশন সার্চ রেজাল্টের শো করায় কখনো কখনো আপনার আর্টিকেলের মধ্যে থেকে যে কোন অংশকে সার্চ রেজাল্টে শো করায় এটা একান্ত গুগলের ইচ্ছা। তবে আপনাকে এস,ই,ও মেন্টেন করার জন্য সার্চ ডেসক্রিপশন দেওয়া উচিত।

আর্টিকেল লেখার তথ্য সমূহ সংগ্রহ করার নিয়ম

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি নতুন একজন আর্টিকেল রাইটার হন এবং আপনার আর্টিকেলের বিষয়টি আপনার কাছে একদম নতুন হয়, তাহলে আপনি কি করবেন? আর্টিকেল লেখার প্রয়োজনীয় তথ্য কোথায় পাবেন? এ ধরনের প্রশ্ন অবশ্যই আপনার মনে থাকবে।

এমন হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জানলেই হলো। তথ্য সংগ্রহের অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। এই ক্ষেত্রে আপনি ওই বিষয়টি নিয়ে গুগল, youtube থেকে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

ঐ বিষয়ের উপর অনেক আর্টিকেল আপনি গুগলে পেয়ে যাবেন এবং ইউটিউবে ওই বিষয়ের অনেক তথ্য পাবেন। এভাবে আপনি আপনার আর্টিকেল লেখার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিষয়টি জানার পর কোন পোস্ট কপি না করে সম্পূর্ণ নিজের মত করে আপনি আপনার আর্টিকেলটি লিখবেন।

আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন কোনভাবেই AI এর সাহায্য নিবেন না। গুগল ট্রান্সলেটর থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। যদি আর্টিকেল লিখে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে সঠিক নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখুন।

উপসংহার - শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায়, যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো মেনে নিয়মিত আর্টিকেল লিখেন তাহলে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে আপনি খুব ভালো একটি রেজাল্ট দেখতে পাবে।

কারণ এই নিয়মে আর্টিকেল লিখলে গুগলে র‍্যাঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯% থাকবে। প্রিয় পাঠক, আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন অথবা আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে কমেন্ট করুন।

ধন্যবাদ-Thanks.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
Comment মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url