ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সেরা ১০ টি স্কিল 2025
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সেরা ১০ টি স্কিল নিয়ে লিখছি আজকের আর্টিকেলটি। কেননা এটি অনেকেরই কৌতূহলী মনের জিজ্ঞাসা। শুধু কি তাই? ফ্রিল্যান্সিং কি, ফ্রিল্যান্সিং করলে জব বা পড়াশোনায় কোন সমস্যা হবে কিনা, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি দরকার হয়, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কাজ শিখব, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্যারিয়ার গড়বো, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় সহ আরো অনেক প্রশ্ন।
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যতটা সহজ মনে হয় আবার ততটা কঠিনও। তবে সঠিক গাইডলাইন থাকলে এবং কিছু পদ্ধতি মেনে চললে আপনি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং ভালোভাবে শিখতে পারবেন ও একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
সূচিপত্র: ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2025
(নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন)
- ফ্রিল্যান্সিং কি
- ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি লাগে
- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2025
- 2025 সালে যেসব ফ্রিল্যান্সিং স্কিলের চাহিদা বেশি
- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কি? ও জনপ্রিয় কয়েকটি মার্কেটপ্লেসের নাম
- বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
- পড়াশোনা ও জব এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে কিনা
- উপসংহার-শেষ কথা
ফ্রিল্যান্সিং কি? (ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরি)
ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলা হলো মুক্ত পেশা। অর্থাৎ স্বাধীনভাবে কাজ করা। ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরি দুটোই কাজ কিন্তু এ দুই কাজের ধরন আলাদা। সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি কোন চাকরি করেন তাহলে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় আপনাকে কর্ম ক্ষেত্রে যেতে হবে এবং কাজ শেষ করে আবার নির্দিষ্ট সময় বাড়িতে আসতে হবে। আর ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন নির্দিষ্ট ধরা বাধা সময় নেই।
আপনার সুযোগ-সুবিধা মত কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মূলত অনলাইন ভিত্তিক কাজ। আর যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। সাধারণত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইনে স্বাধীনভাবে কাজের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
ফ্রিল্যান্সাররা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মুক্ত বা স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে। অনেক সময় ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ফ্রিল্যান্সিং কাজকে ব্যবসায়িক পর্যায়ে নিয়ে যায়। কেননা এতে তারা তাদের ফ্রিল্যান্সিং কাজকে স্কেল করার সুযোগ পায়।
এক্ষেত্রে কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার একসাথে হয়ে একটি এজেন্সি গঠন করেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অর্থের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস প্রদান করে।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি লাগে?
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 2025 সালে এ সম্পর্কে জানার জন্য আমাদেরকে আগে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি লাগে? প্রিয় পাঠক, আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে অবশ্যই নিন্মুক্ত বিষয়গুলো লাগবে:
- ইলেকট্রনিক ডিভাইস: ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকতে হবে। অবশ্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। তবে অনেক বিষয় আছে যেগুলো করার জন্য ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার অবশ্যই লাগে।
- ইন্টারনেট সংযোগ: ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোতে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে।
- সঠিক স্কিল: ফ্রিল্যান্সিং অনেক বিষয়ে নিয়ে করা যায়। আপনার কোন বিষয়ে বেশি ইন্টারেস্ট রয়েছে এবং আপনি তা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেরকম একটি স্কিল আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। কারণ যে বিষয়ের প্রতি মানুষের বেশি আগ্রহ থাকে সেই বিষয়টি সে সহজেই আয়ত্ত করতে পারে।
- সময় দেয়া :ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। আপনার অন্য কাজ থাকলেও সে কাজের মধ্যে থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2025 সালে?
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2025 সালে এ সম্পর্কে পয়েন্ট আকারে নিম্নে আলোচনা করা হলো:
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সম্পর্কে ধারণা: আমরা পূর্বেই জেনেছি, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথমে একটি সঠিক পরিকল্পনা ও ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দরকার। প্রথমে আপনি সত্যিই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য স্থির করবেন। তারপর আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সম্পর্কে পরিপূর্ণ নলেজ রাখতে হবে।
যেমন : আপনার কম্পিউটারের বা ল্যাপটপের মডেল, Processor, Storage, RAM, Operating System এর নাম ও তা কত Bit এর, ডিভাইসে ইন্সটল কৃত Microsoft Software গুলোর নাম ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনি এই তথ্যগুলো নাও জানতে পারেন অথবা আপনার মনে নাও থাকতে পারে সেক্ষেত্রে আপনার ডিভাইসের মাই কম্পিউটার এর প্রপার্টিজ অপশনের মাধ্যমে সহজে তা দেখতে পারবেন।
এই বিষয় গুলো দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং শেখার ক্ষেত্রে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি যেই স্কিলটা শিখতে চাচ্ছেন তা ওই কম্পিউটারের জন্য প্রযোজ্য কিনা তা দেখতে হবে। যেমন: ভিডিও এডিটিং এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো বাজেটের কম্পিউটার রাখতে হবে।
তবে সব স্কিলের জন্যই হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার দরকার হয় না। সাধারণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়েই আপনি স্কিল শিখে ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু করতে পারেন।
সঠিক স্কিল নির্বাচন করা: ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি হুট করে যে কোন একটি স্কিল শেখা শুরু করে দিবেন এটা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে আপনি যে স্কিলটা শিখতে চাচ্ছেন মার্কেটপ্লেস এ সেই কাজের চাহিদা কেমন আছে? এই কাজটি শিখতে আপনার আগ্রহ কেমন? ইংরেজি ভাষায় আপনার দক্ষতা কেমন আছে? আপনি কতটুক সময়ে স্কিল ডেভেলপ করতে চান?
আপনার যদি ইন্টারনেটে রিসার্চ করার প্রতি ইন্টারেস্ট থাকে এবং স্বল্প সময়ে কোন স্কিল ডেভেলপ করতে চান তাহলে আর্টিকেল রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন ইত্যাদি শিখতে পারেন।আর পূর্ব থেকে আপনার যদি কম্পিউটারের উপর ভালো নলেজ থাকে, আপনি কম্পিউটারের কাজ জানেন, কিছু সময় নিয়ে স্কিলটা শিখতে চাচ্ছেন হতে পারে তা দুই থেকে তিন মাস তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সংক্রান্ত স্কিল, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি শিখতে পারেন।
এগুলোর মধ্যে আবার বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলেই সবগুলো একসাথে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারবেন না। হয়তো আপনি সবগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে পারেন কিন্তু এক্সপার্ট হবেন নির্দিষ্ট এক বা একাধিক বিষয়ে।
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি আরো বেশি সময় দিতে পারেন স্কিল শেখার ক্ষেত্রে, যদি প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার সম্পর্কে আপনার ভালো নলেজ থাকে তাহলে আপনি development, programming ইত্যাদি বিষয়ে আপনার স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি এফোর্ট দিতে হবে।
স্কিলটি ভালোভাবে শিখুন/ জানুন : আপনি যে স্কিল শিখতে চাচ্ছেন সেটিকে ভালোভাবে জানতে চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে youtube বা গুগলের সার্চ করে সে সম্পর্কে জানতে পারেন। যারা এই স্কিল ভালো জানেন তাদের সাথে কথা বলতে পারেন বা তাদের কাছ থেকে শিখতে পারেন।বাংলাদেশে এমন অনেক ট্রাস্টটেড প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন স্কিল অনলাইন এবং অফলাইনে পেইড কোর্সের মাধ্যমে শেখায়। আপনি সেখান থেকেও শিখতে পারেন।
প্র্যাকটিস করা: আপনাকে স্কিল শুধু শিখলেই হবে না। মেন্টর যা শেখাবেন তা ভালোভাবে প্র্যাকটিস করতে হবে। আমরা জানি, practice makes a man perfect. আপনি যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন আপনার স্কিল তত ডেভেলপ হবে।
পোর্টফোলিও: আপনি মার্কেটপ্লেসে নামার আগে আপনার একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি YouTube, google, আপনার মেন্টর বা যারা ফ্রিল্যান্সিং করছে অভিজ্ঞ তাদের কাছ থেকে বিষয়টি দেখতে পারেন। এরপর আপনাকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন : Fiverr, Upwork এ একাউন্ট খুলতে হবে।
ফাইবার বা আপওয়ার্কে কিভাবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয় বা খুলতে হয় সে সম্পর্কে আপনি অভিজ্ঞদের থেকে বা ইউটিউব, গুগলের সাহায্য নিতে পারেন। আপনার প্রোপার স্কিল দিয়ে আপনি মার্কেট প্লেসে, দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন।
২০২৫ সালের সেরা ১০টি ফ্রিল্যান্সিং স্কিল / ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি?
২০২৫ সালে যেসব ফ্রিল্যান্সিং স্কিল বা কাজ এর চাহিদা বেশি সেগুলো নিম্নে দেওয়া হল:
- SEO: সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর চাহিদা বাড়বে
- AI এবং মেশিন লার্নিং: বর্তমানে চারদিকে শুধু AI মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এর ছড়াছড়ি দেখা যায়। যেহেতু এগুলোর ব্যবহার এখন অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে সেহেতু নিঃসন্দেহে বলা যায়, ২০২৫ সালে AI স্পেশালিস্ট এবং মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার অনেক বেশি পরিমাণে দরকার হবে।
- কনটেন্ট রাইটিং: ব্লগ লেখা, আর্টিকেল লেখা, কপিরাইটিং করা ইত্যাদি কাজের চাহিদা বাড়বে।
- ভিডিও কনটেন্ট: YouTube , tiktok সহ বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মে ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা থাকবে।
- ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট : ওয়েবসাইট তৈরি, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এনালাইটিকস পার্ট সার্ভার সাইট ট্রাকিং ইত্যাদি।
- ভিডিও এডিটিং : ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন।
- সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট : অনেক সময় সাইবার আক্রমণ হয় আর এ আক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য দরকার সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট।
- PPC: যারা বিভিন্ন প্লাটফর্মে পেইড এডভারটাইজিং এ দক্ষ ২০২৫ সালে তাদের কাজের বেশ চাহিদা থাকবে।
- ক্লাউড সার্ভিসেস এবং অটোমেশন টুলস: Google Cloud, AWS, Azure ইত্যাদি ক্লাউড সার্ভিসের এবং অটোমেশন টুলস এর কাজের চাহিদা থাকবে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কি এবং জনপ্রিয় কয়েকটি মার্কেটপ্লেসের নাম
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো এমন একটি জায়গা যেখানে বায়ার তার কাজের বর্ণনা উল্লেখ করেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের স্কিল অনুযায়ী কাজ খুঁজে থাকেন। কিছু মার্কেটপ্লেস আছে যা জনপ্রিয়তা এবং নিরাপত্তার দিক থেকে বেশ এগিয়ে আছে। প্রিয় পাঠক, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ২০২৫ সালে এক্ষেত্রে চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক, জনপ্রিয় কিছু মার্কেটপ্লেসের নাম:
- Fiverr
- Upwork
- Freelancer.com
- Toptal
- Guru
- 99 Designs
- Simply Hired
- people Per Hour
- Dribble
- We work remotly
- follow
- creative market
- Authentic job
- Behance
এখানে প্রায় ১৫ টা মার্কেট প্লেসের নাম দেওয়া আছে আপনারা আপনাদের পছন্দের দুই তিনটা মার্কেট প্লেসে অ্যাকাউন্ট করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাতে শুরু করতে পারেন যেমন: Fiverr, Upwork, Freelancer, LinkedIn.
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে মূলত দেশে বিদেশে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করা হয় এবং সে কাজের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সারকে টাকা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের টাকা পাওয়ার কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে সেগুলো হল :
- Payoneer
- Skrill
- BKash
- Wise
- Bank direct deposit
- PayPal (এখানে সরাসরি টাকা তোলা যায় না)
উপরিউক্ত মাধ্যম গুলোর মধ্যে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে Payoneer. এখানে একাউন্ট থাকলে এর মাধ্যমে টাকা স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হয়। এতে ট্রানজেকশন ফি একেবারে কম হওয়ায় ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে অন্যান্য মাধ্যম থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যায় বলে বেশ জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।
এছাড়া আপনারা taptap অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা নিতে পারবেন তবে এখানে নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে টাকা লেনদেন করা যায়। আপনারা সেই দেশগুলো একটু দেখে নিবেন, কারণ বিভিন্ন দেশের সাথে তাদের টাকা লেনদেন পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পড়াশোনা ও জবের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে কিনা
যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা, স্বাধীনভাবে করা যায় সেহেতু পড়াশোনা ও জবের পাশাপাশি অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করলে জব বা পড়াশোনার কোন সমস্যা হবে না। তবে এক্ষেত্রে আপনার সময় কে সুবিধা মত ভাগ করে নিতে হবে।
সবগুলোর মধ্যে ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করতে হবে। যদিও পড়াশোনা বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা করে সময় রাখতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত কিছু কাজ যেমন: ঘুরতে যাওয়া, বিশ্রাম নেয়া, অবসর কাটানো, খেলাধুলা করা, বন্ধুদের সাথে গল্প করা এগুলো অনেকটা কমিয়ে আনতে হবে। এতে অনেকটা সময় পাওয়া যাবে। তবে এগুলো পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না।
লেখক এর শেষ কথা - উপসংহার
পরিশেষে বলা যায়, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সেরা ১০টি স্কিল এবং 2025 এ আর্টিকেলটি আমি এমন ভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছি। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছে তারা সঠিক দিকনির্দেশনা পায়, ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারে ও ফ্রিল্যান্সিং করে তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর খুঁটিনাটি অনেক বিষয় জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেল পড়ে আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের মাঝে তা শেয়ার করবেন। এবং প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
Thanks.
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url