চোখ ওঠার ড্রপ এবং লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে ৬ টি পয়েন্ট

প্রায় আমাদের সকলেরই চোখ উঠে, সেজন্য চোখ উঠলে করণীয়, চোখ ওঠার ড্রপ, লক্ষণ সমূহ, চিকিৎসা সহ ইত্যাদি বিষয় আমাদের জেনে থাকা দরকার। এই কন্টেন্টটিতে চোখ উঠলে কি কি করতে হয় সমস্ত কিছু আলোচনা করা হয়েছে।

image

সূচিপত্র: চোখ ওঠার ড্রপ - চোখ উঠলে করণীয় কি?

চোখ ওঠা কি? (কনজাংটিভাইটিস)

চোখের সাদা অংশের প্রদাহকে চোখ উঠা বলে, এবং ইংরেজিতে (conjunctivitis) কনজাংটিভাইটিস বলে।

image

চোখ ওঠার কারণ ও প্রকারভেদ

চোখ ওঠার বেশ কিছু কারণ রয়েছে কারণগুলো নিচে উপস্থাপন করা হলো।

  • ভাইরাস সংক্রান্ত
  • জীবাণু ঘটিত
  • এলার্জি জনিত
  • নবজাতকের চোখ উঠা
  • আঘাত জনিত

এই কয়েকটি কারণেই চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যাই।

চোখ ওঠার লক্ষণ সমূহ গুলো কি?

চোখের সাদা অংশ লাল হয়, পানি পড়ে, চুলকায়, ব্যথা হয় এবং আলোর দিকে তাকাতে অসুবিধা হয়। জীবাণু ঘটিত প্রদাহে উপরে উল্লেখিত অসুবিধা ছাড়াও চোখে পুঁজ হয়।

কখনো কখনো নবজাতকের চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত হয়। কনজাংটিভাইটিস রোগে শিশু তাকাতে পারে না। চোখে অনেক পুঁজ হয়।

এই অসুখে অনেক সময় অল্প অল্প জ্বর হয়।

চোখে (foreign body sensation) জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি অনুভূতি হয়।

চিকিৎসা - চোখ ওঠার ড্রপ / চোখ উঠলে করণীয় কি?

দিনে বা রাতে যখন চোখ জড়িয়ে যায়, তখন ক্লোরামফেনিকল ড্রপ, (chloramphenicol eye drops) ১০ - ২০ বার বা সালফাসিটামাইড ড্রপ দিনে ৩ - ৪ বার এবং রাতে ১-টেট্রাসাইক্লিন মলম, কাপড় বিশুদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে বারবার খুব আসতে চোখ মুছে দিন। যদি এক চোখে ওঠে তাহলে ঐ তুলা বা কাপড় ভালো চোখে লাগাবেন না।

image

চোখ উঠলে করণীয় কি? (প্রতিরোধ)

চোখ ওঠা রোগীকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন কারণ সহজে এ রোগ সংক্রমিত হয়। রোগীর গামছা বা তোয়ালে অন্যরা ব্যবহার করবে না। চোখে হাত দেওয়ার আগে এবং পরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

আরো পড়ুন: রক্তশূন্যতার লক্ষণ সমূহ দ্রুত শনাক্ত ও প্রতিরোধের করুন

চোখ ওঠা রোগী প্রখর রোদে ঘোরাফেরা করবেন না বা বাতাস লাগাবেন না। ধুলাবালি কিছুতেই যেন চোখে না পড়ে সেদিকে নজর রাখবেন। এ সময় রঙ্গিন চশমা ব্যবহার করা ভালো। খাল বিল বা পুকুরে গোসল করবেন না।

শেষ কথা - উপসংহার

আলহামদুলিল্লাহ, আপনি যদি সম্পন্ন কনটেন্টে পড়ে থাকেন তাহলে চোখ ওঠার ড্রপ এবং চোখ উঠলে করণীয় কি? এ বিষয়গুলো স্বচ্ছ ভাবে বুঝতে পেরেছেন। চোখের যত্ন নিন এবং চোখ সুস্থ রাখতে খাওয়ার তালিকায় বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি রাখুন।

প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

ধন্যবাদ-Thanks.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
Comment মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url