জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতার ১২টা পয়েন্ট
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতার গুরুত্বপূর্ণ ১২টা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও শরীরে জিংক বি এর ঘাটতির লক্ষণ, খাওয়ার নির্দেশনা, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে। এই আর্টিকেল থেকে আপনি জিংক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে যাচ্ছেন...
(নিচের যে অংশ থেকে পড়তেছে ক্লিক করুন)
সূচিপত্র: জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতার ১২টা পয়েন্ট
- ভূমিকা
- জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা
- শরীরে জিংক বি এর ঘাটতির লক্ষণ
- জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার নির্দেশনা
- জিংকে যে সকল উপাদান গুলো রয়েছে
- জিংক বি ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- জিংক বি ট্যাবলেট সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
- উপসংহার - শেষ কথা
ভূমিকা
সুস্থতা অনেক বড় একটি নিয়ামত আমরা সকলেই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে চাই। সেজন্য অনেকগুলো পয়েন্টের মধ্যে একটি পয়েন্ট জিংক থেকে কি কি? উপকারিতা আমরা পাই, ঘাটতির লক্ষণ, খাওয়ার নির্দেশনা, উপাদান, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এসব কিছু জেনে নিলে আমরা জিংক বি ট্যাবলেট থেকে ভালো একটি রেজাল্ট পাবো বলে আশা করা যায়।
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের মেন টপিক জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সেজন্য প্রথমেই পয়েন্টগুলো জেনে নিন। এরপর আরো যে সকল বিষয়গুলো আমাদের জানার প্রয়োজন সে সকল বিষয়গুলো জেনে নেব ইনশাআল্লাহ।
- জিংক আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ব্রণের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী জিংক
- হাড়ের ক্ষয় ঘাটতি পূরণে ভূমিকা পালন করে
- জিংক যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
- পেটে বেশ কিছু সমস্যা সহ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- জিংক চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে
- রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে জিংক
- জিংক মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে
- হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
- জিংক শিশু বৃদ্ধ প্রাপ্তবয়স্ক সকলের অরুচি দূর করতে ভূমিকা পালন করে
- শিশুদের শারীরিক বিকাশে ও উচ্চতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
- শিশু/ছোট বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি জন্য জিংকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে
ব্রণের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী জিংক: ছেলে মেয়ে উভয়ের ব্রণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জিংক হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্রণের সমস্যা প্রতিহত করে। এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করে জিংক।
হাড়ের ক্ষয় ঘাটতি পূরণে ভূমিকা পালন করে: (ম্যাটেরিয়ালস জার্নালে প্রকাশিত) তথ্য থেকে জানা গিয়েছে হাড়ের জন্য জিংক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাড়ের গঠন, মজবুত ও শক্তিশালী করতে যে সকল খাবারে জিংক পাওয়া যায় সেসব খাবারের দিকে নজর দিতে। এছাড়াও হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে জিংক।
জিংক যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: নারী পুরুষ সকলের জন্য উপকারী জিংক, পুরুষের টেস্টোস্টের বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং ক্ষমতা শক্তি বাড়ায়। নারীদের ক্ষেত্রেও এটি যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন ও লিবিডো যা যৌন সুস্থতা প্রদান করে জিংক।
আরো পড়ুন: প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয়? ঘরোয়া চিকিৎসা
পেটে বেশ কিছু সমস্যা সহ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: জিংক পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যেমন: এনজাইম, পুষ্টি শোষণ, পুষ্টি ভাঙন, হজম শক্তি বাড়ায় ইত্যাদি।
জিংক চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে: জিংক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের চোখের ম্যাকুলার প্রতিরোধে সহায়তা করে, দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এবং বয়সে কারণে আমাদের চোখে পড়ে যায় জিংক আমাদের এই সমস্যা থেকেও প্রটেক্ট করে।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে জিংক: জিংক ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে জিংক। এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য জিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জিংক মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে: জিংক আমাদের স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে এবং মস্তিষ্কের উন্নতি ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে।
হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: আপনারা অনেকেই জানেন শরীরের সাথে মনের একটি গভীর সংযোগ রয়েছে, জিংক হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং হার্টের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জিংক শিশু বৃদ্ধ প্রাপ্তবয়স্ক সকলের অরুচি দূর করতে ভূমিকা পালন করে: জিংক ক্ষুধা বৃদ্ধি করে এবং শিশু, বৃদ্ধ ও প্রাপ্তবয়স্ক সকলের অরুচি দূর করতে সহায়তা করে।
শিশুদের শারীরিক বিকাশে ও উচ্চতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: আমাদের আদরের সোনামণিকে জিংক খাওয়ালে শিশুর শারীরিক এবং উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এজন্য শিশুর খাবারের দিকে নজর দিন। খাবারের মাধ্যমে জিংকের পর্যাপ্ত চাহিদা মেটানো সম্ভব। এবং খাবারের মাধ্যমে জিংকের চাহিদা মেটানো উত্তম।
শিশু/ছোট বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি জন্য জিংকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে: জিংক শিশুদের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এবং শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আপনারা যারা অভিভাবক বাড়ির খাবার মেইনটেইন করেন সে সকল ব্যক্তি জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতার গুলো জেনে আপনি এবং আপনার আত্মীয়-স্বজনকে সচেতন করবেন। এবং জিংক এর গুরুত্ব বুঝিয়ে বলবেন।
শরীরে জিংক বি এর ঘাটতির লক্ষণ
আপনার শরীরে যখন জিংক বি এর ঘাটতির লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাবে তখন আপনি খেয়াল করবেন
- বিষন্নতা
- ক্ষুধা মন্দা
- মুখে অরুচি
- দুর্বল প্রজনন ক্ষমতা
- শরীর ঝিমঝিম করবে
- ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া
- দিন দিন ওজন কমে যাওয়া
এই সমস্যা গুলো যখন আপনি আপনার মাঝে অথবা অন্য কারো মাঝে দেখতে পাবেন তখন বুঝে নিবেন হয়তো আপনি জিংক এর অভাবের সম্মুখীন হয়েছেন।
চিন্তার কোন কারণ নাই আপনি যদি খাবার মেইনটেইন করেন এবং জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করেন তাহলে খুব সহজেই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। সমস্যা বৃদ্ধি হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার নির্দেশনা
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা অনেক তবে আমাদের সকলের উচ্চতা, ওজন এবং বয়স ভিন্ন ভিন্ন সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শে জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। ডাক্তার আপনাকে দেখে বুঝে পরামর্শ দিবে। আমি আপনাকে বলবো কিন্তু আপনার উচ্চতা, বয়স, ওজন, এবং আপনার সমস্যা জেনে ক্যালকুলেশন করে বলতে হবে সেজন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করুন।
আরো পড়ুন: ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার রুচির ঔষধ - ৯.৯৯% কার্যকারী রেমেডি
তবে প্রাপ্তবয়স্ক যাদের ওজন ৩০ কেজি উপরে সে সকল ব্যক্তিকে একটি করে জিংক বি ট্যাবলেট দিনে দুই থেকে তিনবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এবং যাদের জিংক ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সংবেদনশীল আছেন তাদের জন্য জিংক ভিটামিন বি প্রতি নির্দেশিত।
জিংকে যে সকল উপাদান গুলো রয়েছে
প্রায় আমাদের সকলের একটি কৌতুহল জাগে জিংকে কি কি উপাদান রয়েছে। এমনকি অনেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন করে জানতে চান উপাদান গুলো সম্পর্কে, চলুন জেনে নেওয়া যাক জিংকে যে সকল উপাদান গুলো রয়েছে,
- জিংক সালফেট
- জিংক অ্যাসপার্টেট
- ভিটামিন বি৬
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন ডি
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- জিংক সিট্রেট
- জিংক গ্লুকোনেট
- জিংক সিট্রেট
- জিংক পিকোলিনেট
- জিংক অক্সাইড
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- ম্যাগনেসিয়াম
- সিলিকা
- মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ
- ম্যাগনেসিয়াম স্টিয়ারেট
আমাদের শরীরে জিংক এর ভূমিকা অনেক ছোট থেকে বৃদ্ধ সকলের প্রয়োজন সেজন্য অবশ্যই আমাদের খাবার দিকে নজর রাখতে হবে তাহলে জিংকের ঘাটতি জনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন। এবং আপনারা তো উপরে আলোচনা থেকে জেনে গেছেন জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
জিংক বি ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অনুগ্রহ করে আপনারা সমস্যা শনাক্ত না করে জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। জিংক ট্যাবলেট ক্রয় করার সময় মেয়াদ দেখে ক্রয় করুন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া জিংক বি ট্যাবলেট সহ সমস্ত ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। ছোট্ট বাচ্চাদের নাগালের বাইরে জিংক বি ট্যাবলেট সংরক্ষণ করুন।
জিংক বি ট্যাবলেট সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
জিংক বি ট্যাবলেট কেন খায়?
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য
জিংক ভেট এর কাজ কি?
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পোস্টটি চাহিদা পূরণ
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কখন খেতে হবে?
সকাল, দুপুর, রাত্রি, যে কোন সময় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স প্রাপ্তবয়স্করা ১ থেকে ২ বার খেতে পারবে। ডাক্তারের পরামর্শে খাওয়া উত্তম
প্রতিদিন জিংক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে কি?
কিছুদিন নিয়মিত খাওয়া যাবে তবে ধারাবাহিক মাসের পর মাস খাওয়া যাবে না।
জিঙ্কের অভাবে কি কি হতে পারে?
এই আর্টিকেলের তিন নং চ্যাপ্টার (শরীরে জিংক বি এর ঘাটতির লক্ষণ) পড়ুন
এজিংক ভেট এর কাজ কি?
হাড়ের গঠন এবং ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
রাতে জিংক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে কি?
হ্যাঁ
পুরুষদের জন্য জিংক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে কি?
হ্যাঁ
উপসংহার - শেষ কথা
এই আর্টিকেলটিতে জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সহ আরো প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। যে তথ্যগুলো প্রায় আমাদের সকলের জানার প্রয়োজন তথ্যগুলো জানলে আমরা নিজেরা উপকৃত হব এবং অন্যকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারব।
ধন্যবাদ-Thanks
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url