পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় ৬ টি উপায়সমূহ
"পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয়" আমাদের শরীরের যেকোন ব্যথা আমাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক হোক সেটা পিঠের বাম পাশ ব্যথা অথবা পিঠের মিডিল অথবা বাহু ইত্যাদি। বর্তমানে অনেক মানুষ পিঠের ব্যথার সমস্যা ভুগছেন। তাই আপনাদের জন্য আর্টিকেলটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে একটা স্বচ্ছ ধারণা এবং একটি গাইড লাইন পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
পিঠে ব্যথার একজন অসুস্থ মানুষ যখন কষ্টের তার অবস্থান দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে তখন সে সুস্থতা কত বড় নিয়ামত সে খুব ভালো করে তা উপলব্ধি করছে। সেজন্য আমাদের উচিত সুস্থ থাকা অবস্থায় সচেতন থাকা এবং সমস্যা অল্প থাকতেই সমাধানের জন্য চেষ্টা করা। ধৈর্য নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ুন অনেক কিছু জানতে পারবেন।
(নিচের যে অংশ থেকে পড়তেছে ক্লিক করুন)
সূচিপত্র: পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় - টেস্ট ব্যায়াম ফিজিওথেরাপী চিকিৎসা ইত্যাদি।
- ভূমিকা
- পিঠের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
- পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় ৬ টি উপায়সমূহ
- কি কি মেডিকেল টেস্ট করা লাগতে পারে?
- পিঠে ব্যথা থেকে কি কি সমস্যা হতে পারে?
- পিঠে ব্যথার জন্য ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপী
- পিঠে ব্যথার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত
- পিঠে ব্যথার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা
- পিঠে ব্যথার জন্য মেডিকেল চিকিৎসা
- উপসংহার - শেষ কথা
পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় কিছু তথ্য (ভূমিকা)
আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের গঠন এর তুলনায় পিঠের গঠন একটু জটিল কারণ অন্যান্য সমস্যার কারণেও পিঠে ব্যথা হয় এবং পিঠে ব্যথার কারণে অন্যান্য সমস্যা হয়ে থাকে। আপনার হয়তো অনেকে জানেন মেরুদন্ড তিন ভাগে বিভক্ত ১. ঘাড়, ২. পিঠ, এবং ৩. কোমরের নিচ (লেজ)।
মেরুদন্ডের উপরের অংশকে সার্ভাইক্যাল স্পাইন বলা হয়, এবং নিচের অংশকে লাম্বার স্পাইন বলা হয়, এছাড়াও মিডিলের অংশটি ১২ টি কশেরুকা দ্বারা গঠিত করা হয়েছে। (সুবহানাল্লাহ)
আরো পড়ুন: ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম - গ্রহণ মাত্রা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবরণ ইত্যাদি।
আমরা খুবই সংক্ষিপ্ত একটি ছোট্ট ধারণা পেয়েছি ইতিমধ্যেই এখন পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় সকল পদক্ষেপ যেমন: মেডিকেল টেস্ট, কি কি সমস্যা হতে পারে, ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপী, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, মেডিকেল চিকিৎসা প্রতিটি বিষয় জানার চেষ্টা করব এবং আমার জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা নির্বাচন করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এটাই আপনার প্রথম কাজ।
চলুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক পিঠের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে কেননা এই কাজটি আপনাকে করতে হবে হয়তো বা বাসায় নিজে নিজে অথবা ডাক্তারকে আপনার সমস্যার সঠিক তথ্য প্রদান করে।
পিঠের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
আপনার সমস্যা যখন হয়েছে তখন অবশ্যই এর পেছনের কারণ কি? আপনাকে জানতে হবে, হয়তো আপনি জানেন অথবা জানেন না। যদি আপনি আপনার সমস্যার কারণ জানেন তাহলে অবশ্যই সচেতন থাকুন কেননা সচেতন থাকার কারণে দ্বিতীয়বার আপনার এই সমস্যাটি নাও হতে পারে। চলুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট জেনে নেওয়া যাক।
পিঠের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ,
- মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরে যাওয়া
- পিঠের পেশীতে অতিরিক্ত চাপের কারণে
- সঠিক নিয়মে ঘুম না পারলে
- কাঁধের কোনো সমস্যা হলে
- কিডনি পাথর বা কিডনির সমস্যা থেকে
- হৃদরোগ থেকে পিঠের ব্যথা হতে পারে
- মানসিক চাপ বা উদ্বেগ পেশী সংকোচন এর কারণ ইত্যাদি।
আপনারা উপরের পয়েন্ট গুলো পড়েই বুঝতে পারছেন পিঠের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ গুলো কি কি? এখন যদি আপনার মনে হয় এ কারণে আমার সমস্যাটি হতে পারে। এবং এগুলো ছাড়া আরো কারন রয়েছে যেমন: ভারী বোঝা বহন করা, হাত দিয়ে একই কাজ দীর্ঘ সময় করা, দীর্ঘ সময় বসে থাকা, আঘাত জনিত বিভিন্ন কারণ ইত্যাদি।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঠিক সমস্যা সনাক্ত করা, আপনি যদি প্রথম ধাপটি সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো সহজ হয়ে যাবে। চলুন এবার পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় কি? জেনে নেওয়া যাক।
পপিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় ৬ টি উপায়সমূহ
এখন আপনার উচিত সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অনেকেই হালকা একটু ব্যথা পেলে বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ সহ অনেক কিছু করে ফেলে আবার অনেকেই সমস্যার সম্মুখীন হলে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায় না। যখন খুবই খারাপ অবস্থা হয় তখন এখানে ওখানে দৌড়াদৌড়ি করে এবং অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
পিঠের বাম পাশ ব্যথা হলে আপনার কি কি ৬ টি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, নিচে একটি ছক দেওয়া হলো।
পদক্ষেপ গ্রহণ | পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় কি? সংক্ষিপ্ত বর্ণনা |
প্রাথমিক পদক্ষেপ | আপনার ব্যথা যদি খুব বেশি না হয় তাহলে প্রথমেই যেগুলো করবেন বিশ্রাম, ঠান্ডা এবং গরম সেঁক, পিঠ সোজা রেখে বসা একটু সতর্কর সাথে চলাফেরা সাধারণত এই কাজগুলো করলেই অল্প কয়েকদিনে আপনার ব্যথা কমে যাবে। |
মালিশ বা থেরাপি | মালিশ, আপনার পিঠে ব্যথা দীর্ঘ সময়ের হলে ব্যথার জায়গায় আলতো করে হাতে দিয়ে মালিশ করুন এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করুন। এভাবে অল্প কিছুদিন পরীক্ষা করে দেখুন আশা করা যায় অনেকটা আরাম পাবেন। |
ফিজিওথেরাপি, দীর্ঘ সময় এবং ব্যথা ভালো হচ্ছে না এরকম হলে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। আপনি যদি এই কাজটি করেন তাহলে আপনার দীর্ঘদিনের ঘাড় ব্যথা ভালো হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। | |
ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং | পিঠে ব্যাথা সমস্যার জন্য ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং করলে অনেক আরাম পাওয়া যায় আপনি যদি এই কাজটি করেন তাহলে আপনার পেশী নমনীয় করবে এবং চাপ কমাবে। এছাড়াও কিছু ব্যায়াম করতে পারেন তবে ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। |
ওষুধ | অনেকেই পিঠে ব্যথার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করে তবে দীর্ঘ সময় ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করা উচিত না। এবং ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করলে সাথে একটি গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়া উচিত, না হলে পরবর্তীতে কিডনির সমস্যা হতে পারে। |
জীবনধারা পরিবর্তন | পিঠে ব্যথার জন্য আপনি কয়েকটি কাজ করতে পারেন ১. ভারি কাজ এড়িয়ে চলা, ২. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা, ৩. সঠিক নিয়মে ঘুমানো, ৪. ঘরোয়া পদ্ধতি চিকিৎসা, এই কয়েকটি কাজ করলে আপনার সমস্যা থেকে মুক্তি পেলেও পেতে পারেন। |
ডাক্তারের পরামর্শ | আপনার পিঠে যদি দীর্ঘদিনের ব্যাথা হয় এবং এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা যেমন: পিঠের বাম পাশে ব্যথা থেকে হাতে ব্যথা এই রকম সমস্যা হলে এবং ব্যথার সাথে অন্য উপসর্গ যেমন জ্বর, বমি, প্রস্রাবের সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। |
আরো পড়ুন: জিংক বি কেন খায় - উৎস এবং উপকারিতা ও অপকারিতা
পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয়? (উত্তর উপরের ছয়টি পয়েন্ট) তবে উপরের ছয়টি পয়েন্ট খুব সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে আপনাদেরকে একটি ওভারভিউ দেওয়ার জন্য। এই ওভারটা থেকেই আপনারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন, আশা করি আপনারা পয়েন্টগুলো বুঝতে পেরেছেন চলুন আরো কিছু পিঠে ব্যাথা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
কি কি মেডিকেল টেস্ট করা লাগতে পারে?
আপনার পিঠের ব্যথা সমস্যাটি যখন বৃদ্ধি পাবে এবং কঠিন পর্যায় চলে যাবে তখন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে বেশ কিছু মেডিকেল টেস্ট করা লাগতে পারে। তবে আপনার জন্য কি মেডিকেল টেস্ট করা লাগবে তা ঠিক করবেন একজন ডাক্তার, নিচে পিঠে ব্যথার জন্য কি কি মেডিকেল টেস্ট করা লাগতে পারে দেওয়া হলো।
- এক্স-রে (X-ray)
- এমআরআই (MRI - Magnetic Resonance Imaging)
- সিটি স্ক্যান (CT Scan)
- ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি (EMG)
- ব্লাড টেস্ট (Blood test)
- ইউরিন টেস্ট (Urinalysis)
- ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram) বা ইসিজি (ECG)
এতগুলো মেডিকেল টেস্ট দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নাই কারণ আপনার একসাথে এতগুলো টেস্ট লাগবে না। পিঠে ব্যথার জন্য একটি থেকে দুইটি অথবা তিনটি টেস্ট করা লাগতে পারে তবে অনেক রোগী আছে যারা টাকার জন্য এ টেস্টগুলো করতে চায়না তাদের কাছে আমার অনুরোধ অনুগ্রহ করে আপনারা ডাক্তারের দেওয়ার টেস্ট গুলো করে নিবেন। প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে আরও বিস্তারিত কথা বলুন।
একটি উদাহরণ, আপনি যখন অন্ধকারে চলবেন তখন রাস্তা সঠিকভাবে দেখতে পাবেন না এবং লাইফ অন করে যখন রাস্তায় চলবেন তখন রাস্তাটি পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ দেখতে পাবে ঠিক তেমনি আপনার সমস্যাটি শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট করা লাগতে পারে। অলরেডি আমাদের তিনটি পয়েন্ট জানা হয়ে গিয়েছে এবার পিঠে ব্যথা থেকে কি কি সমস্যা হতে পারে? জেনে নিন।
পিঠে ব্যথা থেকে কি কি সমস্যা হতে পারে?
আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে কোন সমস্যাকে ছোট করে দেখা উচিত না। ছোট্ট একটি সমস্যা দীর্ঘ সময় থাকার ফলে সেই সমস্যা থেকে বড় একটি সমস্যা হয়েও যেতে পারে, সেজন্য আমাদের উচিত সচেতন থাকা। পিঠে ব্যথা থেকে কি কি সমস্যা হতে পারে তার কয়েকটি কমন সমস্যাগুলো তুলে ধরা হলো।
- কিডনির সমস্যা
- কোমর বা পায়ের ব্যথা বা (সিয়াটিকা)
- মেরুদণ্ডে থাকা নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা (স্নায়ুর ক্ষতি)
- দৈনন্দিন কাজকর্ম বা চলাচল করতে সমস্যা হতে পারে (মোবিলিটি)
এছাড়া আরো কিছু সমস্যা হতে পারে তবে সেটা নির্ভর করছে আপনার সমস্যা কোন জায়গায় এবং পিঠের ব্যথা কি পর্যায়ে পৌঁছেছে।
পিঠে ব্যথার জন্য ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপী
দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সকলের ব্যায়াম করা উচিত কিন্তু আমরা অনেকেই অলস এবং এই অলসতার জন্য আমাদের অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন একজন ব্যক্তির পিঠের বাম পাশে ব্যথা হয়েছে ডাক্তার তাকে একটি ব্যায়াম শিখিয়ে দিয়েছে কিন্তু সে অলসতার জন্য ব্যায়াম করে না। তাহলে ভাবুন সেই কেমন সমস্যার সম্মুখীন হবে?
আরো পড়ুন: সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া - সুরা ও শানে নুযুল
আপনার ব্যথা যদি দীর্ঘ দিনের হয় তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে গিয়ে সেবা নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আপনাকে কিছু ব্যায়াম শিখিয়ে দিবে সেগুলো বাড়িতে এসে নিয়মিত করলেন আশা করা যায় আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।
পিঠে ব্যথার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত
অনেকে জানতে চাই? পিঠে ব্যথার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সেজন্য এই পয়েন্টটি লিখেছি তবে আপনি যদি এই পয়েন্টের আগের পয়েন্টগুলো পড়ে থাকেন তাহলে এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন আপনার কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পিঠে ব্যথার জন্য বা পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় গুলো সম্পর্কে।
আপনি যদি এখনো না জানেন তাহলে অনুগ্রহ করে এই আর্টিকেলটির তৃতীয় নং চ্যাপ্টার "পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় কি?" পড়ে নিন।
পিঠে ব্যথার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি চিকিৎসা
আপনার পিঠের কোন অংশ যদি ভেঙ্গে না যায় কিংবা গুরুতর আহত না হন তাহলে খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে আপনার পিঠে ব্যথার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এছাড়াও ব্যথার জন্য অনেক সমস্যাতে কার্যকরী এই ফর্মুলা গুলো। আমি যেই ঘরোয়া পদ্ধতি চিকিৎসা গুলো উপস্থাপন করব তা আপনারা হয়তো অনেকেই জানলেও জানতে পারেন।
ঠান্ডা ও গরম পানির সেঁক, (ঠান্ডা পানির সেঁক) বর্তমানে প্রায়ই বাড়িতেই ফ্রিজ আছে যদি না থাকে তাহলে পাশের বাড়ি থেকে বরফ নিয়ে আসুন এরপর একটি পলিথিনে অথবা কাপড়ে জড়িয়ে নিতে হবে তারপর ব্যথা জায়গায় সেঁক দিন দেখবেন অনেকটা আরাম পাচ্ছেন। (গরম পানির সেঁক) একটি ছোট্ট পাতিলে অল্প কিছু পানি গরম করুন এরপর ব্যথা জায়গায় সেঁক দিন তাহলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং পেশীগুলো শিথিল হবে এতে করে আপনি অনেক আরাম পাবেন ইনশাআল্লাহ।
হালকা ব্যায়াম এবং তেল মালিশ, আপনি যদি ব্যথার জন্য কার্যকরী কিছু ব্যায়াম জানেন তাহলে সেগুলো করুন অথবা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন এছাড়াও তেল মালিশ করলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। ঘরোয়া পদ্ধতি চিকিৎসা হিসেবে হালকা ব্যায়াম এবং তেল মালিশ এগুলো আপনার ব্যথা কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।
এছাড়াও আপনি ব্যথার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি চিকিৎসা হিসেবে আপেল সিডার ভিনেগার খাবার তালিকায় রাখতে পারেন এবং আদা ও হলুদ চা, মেথি গুঁড়া, দারুচিনি চা, ইপসম সল্ট বাথ, পুদিনা পাতা এগুলো কিন্তু ব্যথার জন্য খুব কার্যকর তাই অবহেলা না করে নিজের যত্ন নিন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
পিঠে ব্যথার জন্য মেডিকেল চিকিৎসা
পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় হিসেবে অথবা প্রাসঙ্গিক সমস্যার জন্য মেডিকেল চিকিৎসা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ রোগের সমস্যার উপর। গুরুতর সমস্যা না হলে বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতি চিকিৎসা গ্রহণ করলে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব তবে পিঠে ব্যথার জন্য মেডিকেল চিকিৎসা যেগুলো গ্রহণ করা হয় তা নিচে দেওয়া হল।
আরো পড়ুন: প্রতিদিন জ্বর আসার কারণ কি? - বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণের পরামর্শ
- ব্যথানাশক বিভিন্ন ওষুধ
- মাসল রিলাক্স্যান্ট ওষুধ ব্যবহার
- কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন
- ফিজিওথেরাপি
- কাইরোপ্রাক্টিক থেরাপি
- মাইক্রোডিস্কেক্টমি বা ল্যামিনেক্টমি সার্জারি
- কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি
- একুপাংচার বা একুপ্রেশার থেরাপি ইত্যাদি।
আপনার হয়তো অনেকেই জানেন বর্তমানে ব্যথার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে এবং বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত সে জন্য আপনার সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি হলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগনের পরামর্শ নিন এবং তাদের দেওয়া গাইডলাইন অনুসরণ করুন আশা করা যায় আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
উপসংহার - শেষ কথা
এই আর্টিকেলটিতে পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় এবং প্রাসঙ্গিক অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি এই তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সমস্যা সনাক্ত করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিজে নিজেই গ্রহণ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে আমাকে আমাদের সকলকে সুস্থতা দান করুক এবং হায়াতে তাইয়েবা দান করুক। (আমিন)
ধন্যবাদ-Thanks
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url