বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল ও জনসংখ্যা কত

বাংলাদেশের ছোট দেশ। সে তুলনায় এ দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের এই সুজলা- সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল ও জনসংখ্যা কত অনেকেই জানতে চাই। সুন্দর এ দেশটিতে মানুষ প্রান ভরে নিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু এ দেশের আয়তনে তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। নিচে বাংলাদেশের আয়তন ও জনসংখ্যা কত বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।

image

নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন.

সূচিপত্র: বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল ও জনসংখ্যা কত?

বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল

বাংলাদেশের আয়তন নিয়ে বলতে গেলে আমাদের দেশটি একটি ছোট দেশ। কিন্তু এদেশের খনিজ সম্পদ রয়েছে। এর যথাযথ ব্যবহার করতে জানলে কখনো অভাব হবে না। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ খানিকটা অসচেতন।

বর্তমানে বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ বর্গমাইলে হয় ৫৬ হাজার ৯৭৭ বর্গমাইল। বাংলাদেশের সমুদ্র সিমানা ৭১২ কিলোমিটার।

পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সীমানার আয়তন ৪১৫৬ কিলোমিটার। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানার দৈর্ঘ্য ১ লক্ষ ১৮ হাজার কিলোমিটার। আশা করি আপনারা বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল তার সঠিক তথ্য পেয়েছেন। পরবর্তী পয়েন্টগুলো👇

২০২৪ সালের বর্তমানে বাংলাদেশের আয়তন ও জনসংখ্যা কত

বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ে অনেক বিপত্তি রয়েছে। আমরা জানি প্রত্যেক ১০ বছর পরপর আদমশুমারি করা হয়। সে অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের গণনা অনুযায়ী সরকারি তথ্যমতে একেক জায়গায় জনসংখ্যার পরিমাণ একেক ভাবে উল্লেখ করা থাকে। যা অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন: আমাদের বাংলাদেশে কিভাবে স্বাধীনতা পেয়েছে? ইতিহাস জেনে নিন।

তারপরও ২০২৪ সালে তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। কিন্তু এ তথ্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। তবে এ জরিপের কাজ জনশুমারি নামে প্রকল্পটি গণনা করেছিল। এ অনুযায়ী সর্বশেষ তথ্য প্রদান করেছিল বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।

এর মধ্যে নারী সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন এবং পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ২০০৩ জন। গ্রামে বসবাস করে থাকে প্রায় ৬৮ পার্সেন্ট এবং বাকি ৩১% শহরে বসবাস করে।

বর্তমানে জনসংখ্যা যেভাবে বাড়ছে ৫০ বছর পর জনসংখ্যা আরো অনেক বাড়বে। বর্তমান যুগে জনসংখ্যার জ্যামিতিক হারে বাড়তে চলেছে এই প্রেক্ষিতে ২০৭৪ সালে জনসংখ্যার হার বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় 20 কোটি ৩০ লাখ। এ মতবাদ করা হয় জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা প্রজ্ঞাপনপত্রে। আশা করি বাংলাদেশের আয়তন ও জনসংখ্যা কত? দুটি পয়েন্ট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন।

কোথায় অবস্থিত বাংলাদেশের আয়তন

আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও আপনাকে বলতে পারেনা যে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়, আমরা কোন এশিয়ার মধ্যে থাকি? কিন্তু আমাদের ছোটখাটো বিষয়গুলো জানা অতি জরুরী।

বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। একটি মুসলিম রাষ্ট্র। এদেশের অধিকাংশ মানুষই মুসলিম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর পূর্ব অংশে। আমাদের দেশটি ক্ষুদ্র হলেও প্রায় অনেক কিছুই এ দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সম্পর্কিত কয়েকটি বাক্য লিখা হলো :

  1. আমাদের এ ক্ষুদ্র বাংলাদেশটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র।
  2. এটি একটি মুসলিম রাষ্ট্র এদেশের অধিকাংশ মানুষের মুসলিম।
  3. এদেশের পুরো বিস্তর জুড়ে অর্থাৎ চারদিক জুড়ে ভারত রাষ্ট্র ঘিরে রয়েছে।
  4. এ দেশটি দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত মিয়ানমার এবং বঙ্গোপসাগর।
  5. ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। এটি একটি অনেক বড় শহর। এ শহরের পূর্ব নাম ছিল ডাক্কা এর পরিবর্তে বর্তমানে একে ঢাকা বলে অভিহিত করা হয়।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের শিক্ষাক্ষেত্রে এবং পরীক্ষার ইন্টারভিউ ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল ও জনসংখ্যা কত?

১৯৭১ সালে যুদ্ধের ্ সময় এদেশে অনেক মানুষেকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। নিজ দেশকে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেছে। এবং ১৯৭১ সালে যুদ্ধের কারণে অনেক বাঙ্গালীর মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। সে সময় কালের তথ্য মতে বাংলাদেশের আয়তন ছিল ১ লক্ষ ৪৭ হাজা ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। সমুদ্র সিমানা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সব শেষ সৃষ্টি হয়েছিল।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান নদী কয়টি ও কি কি?

এ সমস্যা সমাধানের পর থেকে তা আমাদের দেশ তথা বাংলাদেশের আয়তনের সাথে যুক্ত হয়। এই আয়তনের মান গিয়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৮৬ কিলোমিটার। অর্থাৎ বর্গমাইল হিসাবে ৯৫ লক্ষ ৬০৯ বর্গমাইল। যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে সাত কোটি, গবেষণায় দেখা দিয়েছে আদমশুমারি হয়ে থাকে বছরের শেষে ১ থাকে এমন বছরে।

একাত্তর সালে যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সে বছর আদমশুমারি করা সম্ভব হয়নি তবে ১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে আদমশুমারি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমে গিয়েছিল।

জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার

বিশ্বে মানব জনসংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৮৩ মিলিয়ন। প্রতি বছরে প্রায় ১.১% জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৮০০ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা গণনায় জনসংখ্যা ছিল এক বিলিয়ন পরবর্তীতে ২০২০ সালে ৭.৯ বিলিয়নে গিয়ে পৌঁছায়। পরবর্তীতে জাতিসংঘ অনুমান করে যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এরকমই থাকবে।

বাংলাদেশের নারী পুরুষ জনসংখ্যা কত

জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম। আমাদের বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৯ জন করে বৃদ্ধি পায়। আমাদের এই বাংলাদেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধি দিক থেকে সর্বোচ্চ। শুধুমাত্র কিছু কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদ দিয়ে।

আমাদের দেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। এখানে জনসংখ্যা বাড়ছে ১.৩৭ পার্সেন্ট করে। বর্তমানে বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। আমাদের দেশে নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০. ৩:১০০।

বাংলাদেশের মানুষের গড়ায়ু

আমাদের দেশে জনসংখ্যার গড় আয়ু দিন দিন কমে আসছে। ২০২২ সালে দেখা গিয়েছে মানুষের গড়ায় ৭২বছর চার মাস। তবে ২০২৩ সালে এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে ৭২ বছর ৩ মাস। এক বছরের ব্যবধানে এক মাস কমে গিয়েছে। এভাবে যদি কমতে থাকে তাহলে গড় আয়ু দিন দিন কমে যাবে।

বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল ও জনসংখ্যার জন্ম ও মৃত্যুহার

আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি। তবে অনেক ক্ষেত্রে তথা বর্তমানে দেখা গেছে যে জন্মর আর কিছুটা হলেও কমেছে। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণের ফলে কিছুটা হলে জন্ম আর কমে গিয়েছে। আবার বেড়ে গিয়েছে মৃত্যুহার।

২০২৩ সালে দেখা গেছে জন্মের হার এক দশমিক ৩৩%। আবার এক বছরের ব্যবধানে দেখা গিয়েছে ২০২২ সালে জন্মের বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪০ পার্সেন্ট। যা প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব হয় ১১৭৯ জন। ২০২২ সালে ছিল ১৯.৮% জন্মহার এক বছর বাদ দিয়ে তা দাড়ায় ১৯.৪%।

আরো পড়ুন: এক নজরে বঙ্গবন্ধুর জীবন জন্ম ও পরিচয়

তবে মৃত্যুর দশটি কারণের মধ্যে প্রধান কারণ হলো হৃদরোগের যন্ত্রণা। মৃত্যুর হার বেড়ে গিয়েছে। প্রতি এক হাজার জনে ৬.১ জন করে মৃত্যুবরণ করছে ২০২২ সালে ছিল ৫.৮ জন। তবে আমাদের দেশে ২০২৩-২৪ বছরে স্থুল মৃত্যুহার হার প্রতি হাজারে ১২ জন করে এবং প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুর হার ১৩ জন।

শেষ কথা - উপসংহার

বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল ও জনসংখ্যা কত জেনেছেন এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার পরিমাণ অধিক। সেজন্য সমস্যাগুলো চিহ্ন করে সব দিক বিবেচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ধর্মীয় আইন কানুন বাস্তবায়ন জরুরী।

ধন্যবাদ-Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন 👇🏼 (Share it)

Before. পূর্বের পোস্ট দেখুন After. পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url